নির্বাচন কমিশন (ইসি) জটিল অসুখে আক্রান্ত, আইসিইউতে। তাই ‘ইসি বাঁচাতে’ জরুরিভাবে মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের পরামর্শ দিয়ে গত বছরের অক্টোবরে আলোচনায় এসেছিলেন মেয়াদ শেষ হয়ে আসা কমিশনের জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
এবার তাকে 'সারা বছর অসুস্থ থাকে’ দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা জানিয়েছেন, মাহবুব তালুকদারের চিকিৎসায় নির্বাচন কমিশনকে বছরে ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকা খরচ করতে হয়েছে।
যেহেতু কমিশনারদের চিকিৎসা ব্যয় নির্বাচন কমিশন থেকে বহন করা হয়, সে টাকা মাহবুব তালুকদার ইসি থেকে পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে বৃহম্পতিবার নির্বাচন কমিশন নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠনের ‘আরএফইডি টক’ অনুষ্ঠানে মাহবুব তালুকদারের চিকিৎসা খরচের এ হিসাবের তথ্য দেন সিইসি।
জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মাহবুব তালুকদার নানান সময় ইসির সমালোচনা করেছেন। সেসব সমালোচনার পর তাকে নিয়েও সমালোচনা ও বিতর্ক ছড়িয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে সিইসি নুরুল হুদা বলেন, ‘উনার ব্যক্তিগত এজেন্ডা থাকে। তিনি একজন অসুস্থ ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তি। কখনো আইসিউ, কখনো সিসিইউতে থাকেন। সিঙ্গাপুর ও ভারতে উনাকে চিকিৎসা নিতে হয়। এ জন্য বছরে প্রায় ৪০-৪৫ লাখ টাকা খরচ হয়। এটা নির্বাচন কমিশন বহন করে।
‘নির্বাচন ব্যবস্থা সিসিইউ-আইসিইউতে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এই আইসিউ, সিসিইউ-এর কথাগুলো তিনি নিজের অসুস্থতার ওখান থেকে কোট করে এনেছেন বলে মনে হয়।’
সিইসি বলেন, ‘কোনো নির্বাচন হলে বা আমাদের কোনো অনুষ্ঠান হলে তিনি ৬-৭ দিন পর্যন্ত বেছে বেছে বের করেন, কোন শব্দটা কোন জায়গায় বলা যায়। যেটা মিডিয়ায় কাভারেজ হয়। উনি ব্যক্তিগতভাবে যেটা বলেন, সেটা উনার ব্যক্তিগত মতামত।’
বিনা ভোটের নির্বাচন নিয়ে মাহবুব তালুকদারের মন্তব্যের সমালোচনা করেন সিইসি। নুরুল হুদা বলেন, ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলে ইসির কি করার আছে। এটা তো প্রার্থীদের সিদ্ধান্ত, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। বিনা ভোটে নির্বাচিত কেন হলো, এটা দেখার কোনো এখতিয়ার ইসির নেই।’