বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অনশন ভাঙার পর নতুন কর্মসূচির পথে শাবি শিক্ষার্থীরা

  •    
  • ২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১২:৫৪

শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা অনশন কর্মসূচি থেকে সরে এসেছি। তবে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ রাখার অবস্থান থেকে এখনও সরে আসিনি। এ ব্যাপারে সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’

অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের আশ্বাসে অনশন ভাঙার পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করতে যাচ্ছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) শিক্ষার্থীরা।

তারা বলছেন, অনশন ভাঙলেও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা অনশন কর্মসূচি থেকে সরে এসেছি। তবে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ রাখার অবস্থান থেকে এখনও সরে আসিনি। এ ব্যাপারে সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’

তবে বুধবার সকালে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে দিয়ে দেখা যায়, সেখানে শিক্ষার্থীদের আগের অবস্থান নেই। দুএকজন ঘোরাফেরা করছেন। আগের মতোই পুলিশ মোতায়েন আছে।

এদিন সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে প্রায় ১৬৩ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙেন শাবির শিক্ষার্থীরা।

অনশন ভেঙে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম অপূর্ব বলেন, ‘অধ্যাপক জাফর ইকবাল আমাদের কাছে খুব সম্মানিত। আমরা তাকে বিশ্বাস করি। তিনি আমাদের জানিয়েছেন, আমাদের দাবি পূরণের ব্যাপারে সরকারের উচ্চমহল থেকে তাকে আশ্বাস দিয়েছে। আশা করছি, সরকার তাকে দেয়া এই আশ্বাস রাখবে।’

অপূর্ব বলেন, ‘অনশন থেকে সরে এলেও আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। দ্রুতই নিজেরা বসে আমরা আন্দোলনের ধরন ও কর্মসূচি ঠিক করব।’

আরেক অনশনকারী শিক্ষার্থী পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শাহরিয়ার আবেদীন বলেন, ‘আন্দোলন থেকে আমরা সরে আসব না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’

তিনি বলেন, ‘অনশন ভাঙার পর দাবি মানা না হলে, সেটি কেবল আমাদের সঙ্গে নয়, মুহম্মদ জাফর ইকবালের সঙ্গেও হবে প্রতারণা।’

প্রেক্ষাপট

শাবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের শুরু ১৩ জানুয়ারি। রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী।

১৬ জানুয়ারি বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে উপাচার্যকে মুক্ত করে পুলিশ।

এরপর পুলিশ ৩০০ জনকে আসামি করে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। সেদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে তার পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন নামেন।

বাসভবনের সামনে অবস্থানের কারণে গত ১৭ জানুয়ারি থেকেই অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদ।

১৯ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটা থেকে উপাচার্যের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরণ অনশনে বসেন ২৪ শিক্ষার্থী।

তাদের মধ্যে একজনের বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় তিনি অনশন শুরুর পরদিনই বাড়ি চলে যান। ২৩ জানুয়ারি আরও চারজন ও ২৪ জানুয়ারি একজন শিক্ষার্থী অনশনে যোগ দেন।

এর মাঝে উপাচার্য ইস্যুতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ২২ জানুয়ারি গভীর রাতে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। বৈঠকে উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না এলেও দাবিগুলো লিখিতভাবে জমা দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

তবে বৈঠকের পর শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের মূল দাবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ। এই দাবি না মানা পর্যন্ত তারা আন্দোলন থেকে সরবেন না।

২৩ জানুয়ারি দুপুরের পর শিক্ষার্থীদের আবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে তা না হওয়ায় তারা উপাচার্যকে অবরুদ্ধের ঘোষণা দেন।

ওইদিন রাত ৮টার দিকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। অবরুদ্ধ উপাচার্যের জন্য প্রক্টর, শিক্ষক সমিতির নেতা ও দুজন কাউন্সিলর খাবার নিয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের বাধায় তারা বাসভবনে ঢুকতে পারেননি। ২৮ ঘণ্টা পর ২৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করেন তারা।

এ বিভাগের আরো খবর