বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভালো দামের আশায় বোরো চাষে ব্যস্ত কৃষক

  •    
  • ২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১০:৩৮

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, যথাযথভাবে চারা রোপণ, সেচ ব্যবহার, সুষম সার ব্যবহার, জৈব সার ব্যবহার এবং পার্চিং পদ্ধতিতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে কৃষকদের।

মাঘের কনকনে শীত উপেক্ষা করে নীলফামারীতে শুরু হয়েছে বোরো চাষাবাদ।

কোথাও জমি তৈরি, কোথাও বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন, আবার কোথাও চারা রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা।

ইতিমধ্যে সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে রোপণ করা হয়েছে বোরোর চারা। জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে ধানের দাম ভালো থাকায় এবার আগে থেকেই চারা রোপণ শুরু হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়।

সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের বাহালিপাড়া এলাকার কৃষক অতুল রায় নিউজবাংলাকে জানান, এবারে তিন বিঘা জমিতে বোরো রোপণের প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। চারা থেকে শুরু করে ধান কাটা পর্যন্ত প্রায় সাত হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। বিঘাপ্রতি উৎপাদন হয় অন্তত ২২ মণ ধান। খরচ বাদ দিয়েও বিঘায় অন্তত ১৫ হাজার টাকা লাভ আসে।

ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের সুন্দরখাতা গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, এবার দুই একর জমিতে বোরো লাগানোর কাজ শুরু করেন তিনি। গতবার বাজারদর ভালো ছিল। এবারও বাজারদর ভালো থাকবে বলে আশা করেন তিনি।

নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে ৮১ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে বোরো লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ২৬৪ মেট্রিক টন।

এ ছাড়া সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে বীজতলা হয়েছে, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ১০০ হেক্টর জমি।

গেল মৌসুমে ৮১ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তা ছাড়িয়ে চাষ হয়। আর উৎপাদন হয়েছিল ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৫৬৮ মেট্রিক টন ধান।

মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ, যথাযথভাবে চারা রোপণ ও পরিচর্যার জন্য উদ্বুদ্ধ, প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে সারি সারি পদ্ধতিতে চারা লাগানোর বিষয়টি।

লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাকিব আবেদীন হিরু জানান, সারি সারি চারা রোপণ, সঠিক বয়সের চারা রোপণ এবং সুষম সার ব্যবহারের জন্য কৃষকদের বলা হয়েছে।

কৃষি বিভাগ বলছে, বোরো আবাদে তিস্তা সেচ, বরেন্দ্র সেচ প্রকল্প, গভীর নলকূপ, অগভীর নলকূপের সেচ ব্যবহার করছেন কৃষকরা।

ডিমলা উপজেলার কৃষি র্কমর্কতা সেকেন্দার আলী বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে বোরো ধান চাষ করার জন্য আমরা কৃষকদের সহযোগিতা ও উৎসাহ দিচ্ছি। উপজলোয় আগের তুলনায় বোরো চাষ বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় খরচ কিছুটা বাড়লেও কৃষকরা ভালো দাম পাবেন।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা। ভালো ফলন ও দামও পাবেন তারা। যথাযথভাবে চারা রোপণ, সেচ ব্যবহার, সুষম সার ব্যবহার, জৈব সার ব্যবহার এবং পার্চিং পদ্ধতিতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে কৃষকদের।

আবাদের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করেন কৃষি বিভাগের এ কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর