বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিতু হত্যায় নিজের মামলাতেই আসামি হচ্ছেন বাবুল

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৫ জানুয়ারি, ২০২২ ১৮:১৯

তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, ‘একই ঘটনায় দুটি মামলা চলতে পারে না। দুটি মামলাই পিবিআই তদন্ত করছে। তাই আদালতের নির্দেশনা মেনে মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল আকতারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেনের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় জমা দিয়েছি। আর এ মামলার নথিতে থাকা আসামি, সাক্ষীর জবানবন্দিসহ যাবতীয় তথ্য বাবুলের করা মামলায় যুক্ত হবে।’ 

মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় তার বাবার করা মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

আদালত এই প্রতিবেদন গ্রহণ করলে মিতু হত্যার ঘটনায় শুধু ২০১৬ সালের ৬ জুন পাঁচলাইশ থানায় করা বাবুল আকতার মামলাটি চলবে। এতে আট আসামির একজন হবেন মিতুর স্বামী বাবুল।

বর্তমানে এ মামলায় কারাগারে আছেন সাবেক এসপি বাবুল আকতার।

মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক।

সন্ধ্যায় এ তদন্তকারী কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘একই ঘটনায় দুটি মামলা চলতে পারে না। দুটি মামলাই পিবিআই তদন্ত করছে। তাই আদালতের নির্দেশনা মেনে মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল আকতারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেনের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় জমা দিয়েছি। আর এ মামলার নথিতে থাকা আসামি, সাক্ষীর জবানবন্দিসহ যাবতীয় তথ্য বাবুলের করা মামলায় যুক্ত হবে।’

চট্টগ্রাম আদালতে কোর্ট পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) শাহীন ভুঁইয়া বলেন, ‘পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা মিতুর বাবার করা মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশন শাখায় জমা দিয়েছেন। আদালত সেটির ওপর শুনানি শেষে আদেশ দেবে।’

২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে নগরের জিইসি মোড় এলাকায় খুন হন মাহমুদা খানম। এ ঘটনায় ওই বছরের ৬ জুন জঙ্গিরা জড়িত দাবি করে বাবুল আকতার পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পিবিআই গত বছরের ১২ মে এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।

হত্যায় বাবুল জড়িত বলে সন্দেহ তৈরি হলে একই দিন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন আরেকটি মামলা করেন। মামলায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করা হয়। পুলিশ এ মামলায় গত বছরের ১২ মে বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখায়।

বাবুলের করা মামলায় পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে গত বছরের ১৪ অক্টোবর আদালতে নারাজি আবেদন করেন তার (বাবুল) আইনজীবী। আদালত গত বছরের ৩ নভেম্বর চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণ না করে পিবিআইকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয়। পরে নিজের করা মামলায়ও চলতি মাসের ৯ তারিখ বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেয় আদালত।

এ বিভাগের আরো খবর