করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন যারা হাসপাতালে যাচ্ছেন তাদের ৮৫ শতাংশই টিকা নেননি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
ওমিক্রন মোকাবিলায় বেসরকারি হাসপাতালের প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসা রোগীর ৮৫ শতাংশ ভ্যাকসিন নেননি। ঢাকা শহরের সরকারি হাসপাতালগুলো শয্যার ২৫ শতাংশ রোগী ভর্তি রয়েছেন।’
ঢাকায় করোনার চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতালে ৪ হাজার শয্যা রয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজারের কিছু বেশি রোগী ভর্তি রয়েছেন। বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫০০ জনের মতো বলে জানান জাহিদ মালেক।
যে হারে সংক্রমণ ধরা পড়ছে, তাতে অল্প সময়ের মধ্যে হাসপাতালে শয্যার চাহিদা অনেক বেড়ে যাবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘চাহিদা বাড়লে সংকট দেখা দেয়। এ জন্য আপনাদের আগে থেকেই প্রস্তুত হতে হবে।’
এখন সংক্রমণ ও মৃত্যু কিছুটা বেড়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তবে যারা মারা যাচ্ছেন তাদের বেশির ভাগই করোনার টিকা নেননি বলে দাবি করেন মন্ত্রী। বলেন, ‘সংক্রমণ বাড়লেও মৃত্যু সেভাবে বাড়েনি। সে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তির হারও খুব বাড়েনি। এর একটি কারণ, আমার টিকাদান কর্মসূচি ভালোভাবে করতে পেরেছি।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘বৈশ্বিক ও বেপরোয়া চলফেরার কারণে সংক্রমণ বেড়েছে, ৭০-৮০ ভাগ ওমিক্রনে আক্রান্ত, যা আশঙ্কাজনক।’
মন্ত্রী জানান, টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে টিকা কেনা হয়েছে ৩১ কোটি। এর মধ্যে ২৪-২৫ কোটি টিকা হাতে এসেছে। যার মধ্যে সাড়ে ১৫ কোটি টিকা দেয়া হয়ে গেছে। সোয়া ৯ কোটি প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজ ৬ কোটির কাছাকাছি।
তিনি বলেন, ‘এক মাসের কম সময়ের মধ্যে ১ কোটি ২৫ লাখ শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। এটা একটা বড় কাজ ছিল। আমার ইতোমধ্যে বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করেছি। ফলে মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তি কম হচ্ছে।’
টার্গেটের তিন কোটি এখনও টিকার বাইরে
টিকাদানের লক্ষ নির্ধারণ করা ৩ কোটি মানুষ এখনও টিকার আওতার বাইরে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘এখনও ৩ কোটি টার্গেট পিপল টিকার বাইরে।
‘আমরা দেখলাম পরিবহন সেক্টর, শিল্প সেক্টর বাকি আছে, দোকানপাঠ, নির্মাণ শ্রমিক শ্রেণি এখনও টিকা নিতে বাকি; তারা টিকা নিতে এখনও এগিয়ে আসেননি। তাদের টিকা দেয়ার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এটি নিয়ে গতকাল একটি বৈঠকও হয়েছে; সেখানে আলোচনা হয়েছে কীভাবে উনাদের টিকার আওতায় আনা যায়। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথাও বলেছি।’