এবার করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন আক্রান্ত নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি জানিয়েছেন, দেশে এখন করোনা আক্রান্তের ৮০ শতাংশেরই ওমিক্রন ধরন।
ওমিক্রন মোকাবিলায় বেসরকারি হাসপাতালের প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য দেন।
এর আগে দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ওমিক্রন নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও এর আগে দেশে করোনা আক্রান্তের ৬৯ শতাংশের ওমিক্রন বলে জানিয়েছিলেন।
১৭ জানুয়ারি এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘জিনোম সিকোয়েন্সে দেখা গেছে, রাজধানীতে বর্তমানে করোনা আক্রান্তের ৬৯ শতাংশের শরীরে ওমিক্রনের উপস্থিতি রয়েছে। এটা শুধু ঢাকায় করা হয়েছে। তবে ঢাকার বাইরেও আমরা মনে করি একই হাল হবে। এ কারণেই করোনা সংক্রমণ বেড়েছে।’
কয়েক দিনে এই সংখ্যা অনেক বেড়েছে বলে জানান তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘বৈশ্বিক ও বেপরোয়া চলফেরার কারণে সংক্রমণ বেড়েছে, ৭০-৮০ ভাগ ওমিক্রনে আক্রান্ত, যা আশঙ্কাজনক।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করলেও তখন আমাদের হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় অনেক ঘাটতি ছিল। এখন ব্যবস্থাপনা ভালো করা হয়েছে। অনেক হাসপাতাল কেন্দ্রীয় অক্সিজেনের আওতায় আনা হয়েছে। টিকাদান কর্মসূচি সমানতালে চলছে। দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার পর এখন সাহস হয়েছে সবার।’
তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে আসার পর জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে উদাসীনতা দেখা দিয়েছে। এখন দেখছি স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে মানুষ সচেতন নয়, প্রতিদিন করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণ হাসপাতালে ভর্তির হার বাড়েনি। এর একটি কারণ, আমরা টিকাদান কর্মসূচি ভালোভাবে করতে পেরেছি।’
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশিদ আলম, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খান, বাংলাদেশ বেসরকারি মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও আনোয়ার খান মেডিক্যালের প্রতিষ্ঠাতা আনোয়ার খান।