বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাসপাতাল ছাড়লেন সেই মা

  •    
  • ২৫ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:৩৯

শ্যামলীর আমার বাংলাদেশ হাসপাতালের ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা বিল শোধ করতে না পারায় ৬ জানুয়ারি তাদের বের করে দেয়া হয়। তখন দুই শিশুসহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন আয়েশা। তবে সেখানে পৌঁছার আগেই এক শিশুর মৃত্যু হয়।

যমজ সন্তানের একটিকে চিকিৎসকের অবহেলায় হারানোর পর আরেক সন্তানকে নিয়ে ১৮ দিন পর বাসায় ফিরেছেন সাভারের গৃহবধূ আয়েশা বেগম। র‍্যাবের সহযোগিতায় ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তির পর শিশুর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে সোমবার তিনি বাসায় ফিরে যান।

স্বজনরা জানান, ছয় মাস বয়সী আব্দুল্লাহ ও আহমেদুল্লা নামে যমজ শিশুর ঠান্ডাজনিত সমস্যার চিকিৎসা নিতে গত ৩১ ডিসেম্বর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আসেন সাভার রেডিও কলোনির বাসিন্দা আয়েশা বেগম। সেখান থেকে দালালের খপ্পরে পড়ে তিনি সন্তানদের ভর্তি করেন শ্যামলীর আমার বাংলাদেশ হাসপাতালে। এ হাসপাতালে ছয় দিন ভর্তি দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা বিল দাবি করে। কয়েক দফায় ৫০ হাজার ৫০০ টাকা দিলেও পুরো বিল পরিশোধ করতে পারেননি আয়েশা। ৬ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে তাদের বের করে দেয়া হয়। তখন দুই শিশুসহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন আয়েশা। তবে সেখানে পৌঁছার আগেই এক শিশুর মৃত্যু হয়।

বিল দিতে না পারায় হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়া ও শিশুর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। অপর শিশুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়।

স্বজনরা জানান, যমজ শিশুর বাবা মোহাম্মদ জামাল সৌদিপ্রবাসী। সেখানে তিনি মরুভূমিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। তাদের বাড়ি কুমিল্লার হোমনা উপজেলায়।

অমানবিক এ ঘটনা জেনে র‍্যাবের টিম হাসপাতালের মালিক মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ারকে আটক করে। পরে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হয়।

ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি শিশু ও তার মায়ের নিয়মিত খোঁজ রাখেন র‍্যাব কর্মকর্তারা। সন্তান হারানোর বেদনাদায়ক স্মৃতি নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় যখন হাসপাতাল ত্যাগ করেন আয়েশা তখন র‍্যাব-৩ কর্মকর্তারা তাকে দেন বেশ কিছু উপহার। বাসায় ফেরার অ্যাম্বুলেন্সটিও ঠিক করে দেয় র‍্যাব।

র‌্যাব-৩ টিকাটুলী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. রাহাত হারুন খান এ সময় হাসপাতাল গেটে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘শিশুসন্তানকে নিয়ে তার মাকে বাসায় ফেরার অনুমতি দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাদের বাসায় ফেরার সময় কিছু উপহার দিয়েছি, যেন সমস্যায় না পড়ে। ৩০ দিন পর শিশুকে চেকআপ করার জন্য আনতে হবে। মানবিক কর্ম হিসেবে র‍্যাব তাদের খোঁজ রাখছে।'

র‌্যাবের পক্ষ থেকে শিশু ও তার মাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

বাসায় যাবার আগে আয়েশা বেগম কৃতজ্ঞতা জানান র‌্যাব কর্মকর্তা, চিকিৎসকসহ যারা বিপদের দিনে পাশে ছিলেন তাদের সবার প্রতি।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার আহমেদুল্লাকে ওরা মেরে ফেলছে। ওদের লোভে আমার ছেলে মারা গেল। দুজনকে নিয়ে এসেছিলাম, ফিরতেছি একজনকে নিয়ে।’

এ বিভাগের আরো খবর