পশ্চিমবঙ্গে সরকার গড়ার প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বিজেপির। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর বিজেপির অন্দরে সেই যে ডামাডোল আর গণ্ডগোল শুরু হয়েছে, তা ক্রমেই বাড়ছে। বিদ্রোহীদের থামাতে, জেলায় জেলায় বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে দুই বর্ষীয়ান নেতাকে শোকজ করেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপির এই ঘরোয়া কোন্দলকে বিদ্রূপ করা হয়েছে তৃণমূলের দৈনিক মুখপত্র জাগো বাংলার সম্পাদকীয় নিবন্ধে।
সম্প্রতি রাজ্য বিজেপিতে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বর্ষীয়ান দুই বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তেওয়ারিকে শোকজ করেছে রাজ্য নেতৃত্ব। প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মতুয়া সম্প্রদায়ের শান্তনু ঠাকুরের প্রশ্ন- ক’জনকে শো-কজ করবে।
সে প্রসঙ্গে সমালোচনা করে সোমবারের সম্পাদকীয়তে ‘গেরুয়া গৃহযুদ্ধ’ শীর্ষক একটি নিবন্ধে লেখা হয়েছে, ‘একদিকে দলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলছেন- ক’জনকে শোকজ করবে? আমি বহিষ্কৃতদের নিয়ে দল শক্তিশালী করব। মন্ত্রী যখন প্রেসার পলিটিকস করে দলের পোড়াচ্ছেন, তখন রাজ্য সভাপতি বলছেন, পিকনিক ঘিরে দলের সম্পর্ক যাত্রা হচ্ছে, এমন খবর তাদের কাছে নেই। আশ্চর্যের কথা, রীতিমতো সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য রেখে কর্মসূচি ঘোষণা করছেন। আর সভাপতি বলছেন জানি না।’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে সম্প্রতি নতুন রাজ্য কমিটি থেকে সায়ন্তন বসু, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তেওয়ারির মতো বর্ষীয়ান নেতা বাদ পড়েছেন। তাদের এ বিষয়ে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে। আর বিজেপির রাজ্য কমিটিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের সম্মানজনক কোনো প্রতিনিধিত্ব না থাকার জন্য বিদ্রোহী হয়ে নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বনগাঁর বিজেপি বিধায়ক শান্তনু ঠাকুর।
জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে বিদ্রূপ করে লেখা হয়েছে, ‘ঘটনা যদি এখানে শেষ হতো তাহলেও বলা যেত সামলে নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু শোকজ নোটিশ হাতে পাওয়ার পর দলেরই ৩২ বছরের পুরোনো কর্মী যেভাবে কামান দেগেছেন, তাতে বিজেপির কপালে দুঃখ আছে।’
নিবন্ধের শেষে লেখা হয়েছে, ‘বিজেপি নেতৃত্বের ক্ষমতা থাকলে মতুয়া নেতা শান্তনু ঠাকুরকে চিঠি ধরাক।’