রাজশাহী নগরীতে ‘ধর্ষণের শিকার’ হওয়ায় মাদ্রাসা থেকে শিশু শিক্ষার্থীকে বের করে দেয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটির কাছে ক্ষমা চেয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
তদন্ত কমিটির দায়িত্বে থাকা রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জয়া মারীয়া পেরেরা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন সোমবার সকালে ওই মাদ্রাসায় গেলে মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মো. হাবিবুল্লাহ তার ভুল শিকার করে ক্ষমা চান।
নিউজবাংলাকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমরা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সোমবার সকালে কথা বলি। তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছেন। সেই সঙ্গে ওই ছাত্রীকে তারা সেখানে ভর্তি ও বিনা বেতনে পড়ানোর সুযোগ করে দিতে চেয়েছেন।’
তবে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে এ মাদ্রাসায় আর পড়াবেন না বলে জানিয়েছেন তার মা।
নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আজ (সোমবার) সেই মাদ্রাসায় গিয়েছিলাম। মাদ্রাসার পরিচালক ক্ষমা চেয়েছেন। আমাদের মেয়েকে মাদ্রাসায় ভর্তি করে সব খরচ তারাই দিতে চেয়েছিলেন। তবে মেয়েকে আমরা পাশের একটি সরকারি স্কুলে ভর্তি করেছি।’
‘তার পরও পেরেরা ম্যাডাম আমাকে ভেবে দেখতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, আমি রাগের মাথায় আছি। আর একবার ভেবে দেখার জন্য। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি মেয়েকে এখানে আর পড়াব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আয়ার কাজ করি। বাসায় আসতে অনেক রাত হয়। এখানে মেয়েটা একটু নিরাপদে থাকার জন্যই দিয়েছিলাম। তারা যখন এমনটি করল, আমরা আর এখানে মেয়েকে পড়াব না।’
‘ধর্ষণের শিকার’ শিশুটি পড়ার সুযোগ পেল না মাদ্রাসাতেও শিরোনামে এ ঘটনার সংবাদ প্রথম প্রকাশ করে নিউজবাংলা।
ওই শিশুটির বয়স ৮। দুই বছর আগে তাকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। সেই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় প্রতিবেশী এক কিশোরকে, যে এখন আছে কারাগারে।
শিশুর মা নিউজবাংলাকে জানান, চলতি মাসের শুরুতে নগরীর হড়গ্রাম মুন্সিপাড়া এলাকার উম্মাহাতুল মুমিনীন মহিলা মাদ্রাসায় মেয়েকে ভর্তি করিয়েছিলেন। ভর্তির তিন দিন পরই শিশুটিকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেয়া হয়। ফেরত দেয়া হয় ভর্তি ও আবাসিকের জন্য জমা দেয়া টাকাও।