বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফস্টারে আটকা কিউকমের টাকা গ্রাহকের হাতে

  •    
  • ২৪ জানুয়ারি, ২০২২ ১৪:৪৮

৬ হাজার ৭২১ অর্ডারের বিপরীতে এই টাকা আটকে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কাছে। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে চিহ্নিত তালিকা থেকে ২০টি অর্ডারের বিপরীতে গ্রাহকের ৪০ লাখ ২ হাজার ৪২৩ টাকা ছাড় করা হয়েছে।

পেমেন্ট গেটওয়ে ফস্টারের কাছে আটকা থাকা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের ৫৯ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ৩৪৭ টাকা গ্রাহককে ফিরিয়ে দিতে শুরু করেছে সরকার।

৬ হাজার ৭২১ অর্ডারের বিপরীতে এই টাকা আটকে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কাছে। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে চিহ্নিত তালিকা থেকে ২০টি অর্ডারের বিপরীতে গ্রাহকের ৪০ লাখ ২ হাজার ৪২৩ টাকা ছাড় করা হয়েছে।

ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে এ টাকা গ্রাহকের কাছে অনলাইনে পেমেন্টে দেয়া হবে।

সোমবার বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ চিহ্নিত গ্রাহকদের পাওনা টাকা ছাড়ের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া উদ্বোধন করেন।

এ সময় কিউকমের চিহ্নিত ও তালিকাভুক্ত ২০ গ্রাহক ছাড়াও অনুষ্ঠানে ডিজিটাল ই-কমার্স সেল প্রধান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও আমদানি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এবং অতিরিক্ত সচিব ও ডব্লিউ সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, এ আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গ্রাহকদের টাকা ছাড় শুরু হলো। পর্যায়ক্রমে তালিকাভুক্ত অন্যান্য গ্রাহকও আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাদের টাকা ফেরত পাবেন।

দেশে ই-কমার্স খাতে একের পর এক বিভিন্ন প্রতারণা উদ্ঘাটন হওয়ার পর বিভিন্ন গেটওয়ের কাছে সংশ্লিষ্ট ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের যেসব টাকা আটকে রয়েছে, তাদের মধ্যে কিউকম গ্রাহকের টাকা ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়াটিই প্রথম শুরু হলো।

বর্তমানে পেমেন্ট গেটওয়ে ফস্টারের কাছে কিউকমের আটকা পড়ে আছে ৩৯৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে গ্রাহকদের অন্তত ১৬৬ কোটি টাকা রয়েছে, যার বিপরীতে পণ্য ডেলিভারি করেনি ই-কমার্স কোম্পানিটি। এতদিন ফস্টারের জব্দ অ্যাকাউন্টে এসব টাকা আটকে ছিল।

গত ২৮ ডিসেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জরুরি সভার সিদ্ধান্তে যেসব গ্রাহক অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করেও পণ্য পাননি, কিউকম ও ফস্টারকে আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা ডিজিটাল কমার্স সেলে জমা দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়।

নির্দেশনায় ফস্টার করপোরেশন লিমিটেড এবং কিউকম যৌথভাবে যেসব অর্ডারের বিপরীতে কোনো পণ্য সরবরাহ করা হয়নি অথচ গ্রাহকের পরিশোধিত টাকা ফস্টারে আটকে আছে, তার একটি প্রাথমিক ও আংশিক তালিকা মন্ত্রণালয়ের কাছে দেয়।

যৌথ স্বাক্ষরের এ তালিকায় বলা হয়, ৬ হাজার ৭২১টি অর্ডারের বিপরীতে গ্রাহকরা পাবেন ৫৯ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ৩৪৭ টাকা।

গ্রাককের সঙ্গে প্রতারণার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় কিউকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন মিয়া, বিপণন বিভাগের প্রধান ও জনসংযোগ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির ওরফে আরজে নিরব কারগারে আছেন।

এ বিভাগের আরো খবর