রাজশাহী নগরীতে ‘ধর্ষণের শিকার’ হওয়ায় মাদ্রাসা থেকে শিশু শিক্ষার্থীকে বের করে দেয়ার ঘটনা তদন্তে কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন।
রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জয়া মারীয়া পেরেরা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনকে রোববার তদন্তের এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এ ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর নজরে আসে। ঘটনা তদন্তে তিনি সঙ্গে সঙ্গেই উদ্যোগ নেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জয়া বলেন, ‘ওই ছাত্রীর বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। জেলা প্রশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা ঘটনাটি তদন্ত করব। আমরা বাচ্চাটিকে সেখানে পড়ারও ব্যবস্থা করে দেব। কেন সে সেখানে পড়তে পারবে না? এটি তার অধিকার।
‘জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ আমরা সোমবারই সেখানে যাব, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের সঙ্গেও কথা বলব। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
জয়া জানান, তদন্ত শেষে ওই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
‘ধর্ষণের শিকার’ শিশুটি পড়ার সুযোগ পেল না মাদ্রাসাতেও শিরোনামে এ ঘটনার সংবাদ প্রথম প্রকাশ করে নিউজবাংলা।
ওই শিশুটির বয়স ৮। দুই বছর আগে তাকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। সেই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় প্রতিবেশী এক কিশোরকে, যে এখন আছে কারাগারে।
শিশুর মা নিউজবাংলাকে জানান, চলতি মাসের শুরুতে নগরীর হড়গ্রাম মুন্সিপাড়া এলাকার উম্মাহাতুল মুমিনীন মহিলা মাদ্রাসায় মেয়েকে ভর্তি করিয়েছিলেন। ভর্তির তিন দিন পরই শিশুটিকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেয়া হয়। ফেরত দেয়া হয় ভর্তি ও আবাসিকের জন্য জমা দেয়া টাকাও।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মো. হাবিবুল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মেয়েটার ব্যাপারে অন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা এসে অভিযোগ করে আমাকে বলেছিল যে, তার সমস্যা আছে। আমি নাকি যাকে-তাকে ভর্তি নিয়ে নিচ্ছি। অভিভাবকদের আপত্তি থাকায় এই মেয়েটার ভর্তি বাতিল করতে হয়েছে। টাকাও ফেরত দেয়া হয়েছে।’