১৮ বছর পলাতক থাকার পর র্যাবের হাতে ধরা পড়েছেন চট্টগ্রামের নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামি মহিউদ্দিন।
দুবাই পালিয়ে যাওয়ার পথে শনিবার রাতে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানার সুগন্ধা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭-এর কোম্পানি কমান্ডার (হাটহাজারী) মাহফুজুর রহমান।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০০৩ সালে অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা মামলার রায় হওয়ার পর থেকে দুবাই পালিয়ে ছিলেন তিনি৷ শুরুতে তিনিসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলেও পরে হাইকোর্টে আপিলে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দেয়া হয়। দীর্ঘ ১৮ বছর পলাতক থাকার পর ২৯ নভেম্বর দেশে এসে আত্মগোপনে থাকেন তিনি। শনিবার ফের দুবাই চলে যাওয়ার আগ মুহূর্তে তাকে সুগন্ধা আবাসিক এলাকা থেকে আটক করি।’
২০০১ সালে ১৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম মহানগরীর জামাল খান রোডের নিজ বাসায় অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই দিন নিহতের স্ত্রী তৎকালীন রেলওয়ের অডিট কর্মকর্তা উমা মুহুরী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার বিচার শেষে ২০০৩ সালে ৮ আসামির ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও বাকিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া চারজন হলেন নাসির ওরফে গিট্টু নাসির, আজম, আলমগীর ও মন্টু। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়ারা হলেন হলেন মহিউদ্দিন ওরফে মহিনউদ্দিন, হাবিব খান, সাইফুল ওরফে ছোট সাইফুল ও শাহজাহান। এর মধ্যে মহিউদ্দিন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত গিট্টু নাসিরের ভাই।