বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারি হাসপাতালের গেট ‘বিক্রি’

  •    
  • ২১ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:৩১

জুনিয়র মেকানিক মান্নান গাজী বলেন, ‘গেটটি রুমে রাখা ছিল আর রুম তালা মারা ছিল, কিন্তু গত মঙ্গলবার বড় স্যার ফজলে বারী আমাকে রুম খুলে দিতে বলেন... পরে শুনেছি তা বিক্রি করে দিয়েছেন।’

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি গেট দরপত্র ছাড়াই বিক্রি করে সেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

হাসপাতালের কর্মীরা এই অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

শুক্রবার সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালের পশ্চিম দিকে মসজিদের পাশের লোহার গেটটি নেই। সেখানে ইট-সিমেন্ট দিয়ে অস্থায়ী দেয়াল তোলা হয়েছে।

হাসপাতালের সামনের রাস্তার সংস্কারকাজ চলছে। এ কাজের জন্য আনা বালু রাখা হয়েছে হাসপাতাল প্রাচীরের ভেতর।

রাস্তার কাজের সুবিধার জন্য গত সোমবার ওই গেট খুলে রাখা হয়। নৈশপ্রহরী মো. কামরুজ্জামানের সহযোগিতায় শ্রমিকরা সেটি নিয়ে হাসপাতালের একটি কক্ষে জুনিয়র মেকানিক মান্নান গাজীর হেফাজতে রাখেন।

অভিযোগ ওঠে, সেখান থেকে নিয়ে তা বিক্রি করে দেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফজলে বারী। গেটটির ওজন ছিল প্রায় ৩০০ কেজি।

জুনিয়র মেকানিক মান্নান গাজী বলেন, ‘গেটটি রুমে রাখা ছিল আর রুম তালা মারা ছিল, কিন্তু গত মঙ্গলবার বড় স্যার ফজলে বারী আমাকে রুম খুলে দিতে বলেন। আমি রুম খুলে দিলে তিনি তা লোক দিয়ে নিয়ে গেছেন। পরে শুনেছি তা বিক্রি করে দিয়েছেন।’

হাসপাতালের প্রধান অফিস সহকারী (হেড ক্লার্ক) আসলাম হোসেন বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে শুনেছি ওই গেটটি সেখানে নেই। পরে জানতে পেরেছি তা বিক্রি করে দিয়েছেন স্যার (ফজলে বারী)। তবে এর কোনো টাকা কোষাগারে জমা দেননি।’

এ বিষয়ে জানতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ফোন দিলে ‘আমার বদলির আদেশ হয়েছে, এখন কথা বলা যাবে না’ বলে তিনি ফোন কেটে দেন।

হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এইচ এম মোস্তফা কায়সার বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমার কিছু জানা নেই। হাসপাতালের অন্য চিকিৎসকরা না থাকায় আমি নামমাত্র দায়িত্বে আছি।’

এ বিভাগের আরো খবর