নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে জীবন বিমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জহুরুল হক এবং সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. মাহবুবুল আলমের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১-এ বৃহস্পতিবার মামলাটি হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দুদক সচিব মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন।
তিনি বলেন, জীবন বিমা করপোরেশনের নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতি ও অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেদের মতো করে প্রশ্নপত্র পরিবর্তনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। ফলে তাদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এই মামলার তদন্তের দায়িত্বে আছেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকী।
দুদকের অনুসন্ধানী টিম এ বিষয়ে আরও তদন্ত করে এই অনিয়মের সঙ্গে অন্য কারও সম্পৃক্ততার অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে জানান দুদক সচিব। তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও অন্যান্য নিয়োগের পরীক্ষায় অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়েও দুদক তদন্ত করবে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত উচ্চমান সহকারী, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ও অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় জাল-জালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
এতে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় জীবন বিমা করপোরেশনের এমডি (অতিরিক্ত সচিব) মো. জহুরুল হক ও সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) মো. মাহবুবুল আলমকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটিতে উচ্চমান সহকারী, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক এবং অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অভিনব পন্থায় নিজেদের মতো করে প্রশ্ন প্রস্তুত এবং তার উত্তর সাজিয়ে তা ছাপানোর ব্যবস্থা করেন আসামিরা। পরবর্তী সময়ে তা চাকরি প্রার্থীদের সরবরাহ করেন।
এভাবে পরীক্ষা নিয়ে পরস্পর যোগসাজশে আসামিরা তাদের ওপর অর্পিত সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের লোকদের নিয়োগ দিতে প্রশ্নের উত্তরের ধারাবাহিক ক্রমবিন্যাস পরিবর্তন করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
আর এই অপরাধের দায়ে আসামি দুজনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় কমিশন কর্তৃক একটি মামলা করার অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানান দুদক সচিব।