বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বপ্ন এবার বোরো ধানে

  •    
  • ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ১৩:৫৩

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক তারিক মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ‘আমন ধানে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় বোরো নিয়েও তাদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। আশা করি, সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন পাব।’

ফেনীতে রোপা আমনের বাম্পার ফলনের পর এবার বোরো ধানে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন কৃষকরা।

তাই বীজতলা তৈরির পর থেকে তীব্র শীত উপেক্ষা করে ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে ধানের চারা রোপন করছেন কৃষকরা। অনেকে আবার আবাদের জন্য জমি প্রস্তুতিতে সেচ, হালচাষ, সার প্রয়োগ, বীজ-চারা ওঠানোসহ নানা কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। গত কয়েকদিন ধরেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র।

ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের কৃষক শাহ আলম বলেন, ‘এ মৌসুমে ভালো ধান পেতে গেলে অনেক টাকা খরচ করতে হয়। এ ছাড়া শ্রমিকের মজুরি খরচও বেশি পড়ে যায়। তারপরও আমরা ধান চাষ করছি।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানা যায়, জেলায় এ বছর ৩০ হাজার ১শ ১০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ১শ ১৫ হেক্টরে হাইব্রিড ও ২৬ হাজার ৯৫ হেক্টরে উচ্চফলনশীল (উফশী) বীজের আবাদ করা হবে।

সূত্রটি জানায়, সদর উপজেলায় ৮ হাজার ৯শ ৬০, ছাগলনাইয়ায় ৫ হাজার ৫শ ৯০, ফুলগাজীতে ৪ হাজার ৬শ ৫০, পরশুরামে ৩ হাজার ২শ ৪০, দাগনভূঞায় ৬ হাজার ৫শ ও সোনাগাজীতে ১ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

আমনের পর এবার বোরো ধানে স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। ছবি: নিউজবাংলা

সূত্র আরও জানায়, বোরো আবাদ জেলায় ১ হাজার ৪শ ৬৮ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ২শ ১শ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ও ১ হাজার ৩শ ৫৩ হেক্টর জমিতে উফশীসহ ১ হাজার ৫শ ৬২ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৪শ ৪৩, ছাগলনাইয়ায় ২৮৫, ফুলগাজীতে ২৭০, পরশুরামে ১৬১, দাগনভূঞায় ৩৩৫ ও সোনাগাজীতে ৬৮ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি হয়েছে। এদিকে কৃষকদের বোরো আবাদে উৎসাহিত করতে জেলায় ১০ হাজার কৃষককে ২ কেজি করে হাইব্রীড বীজ, ৪ হাজার কৃষককে ৫ কেজি করে উফশী বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি সার, ১০ কেজি করে বিনামূল্যে এমওপি সার প্রদান করা হয়।

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক তারিক মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ‘আমন ধানে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় বোরো নিয়েও তাদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। আশা করি, সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন পাব।’

অন্য জাতের চেয়ে ভালো ফলনের আশায় কৃষকরা ব্রি-ধান ৮৯ ও ব্রি-ধান ১২ চাষ করছেন। এছাড়া কয়েকজন কৃষককে বঙ্গবন্ধুর নামে এবার ব্রি-ধান ১০০ চাষ করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে বলে জানায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ওই কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর