নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ছুরিকাঘাতে সেনাসদস্যকে হত্যায় জড়িত থাকার কথা তিন যুবক স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছে তিন যুবক। তারা মূলত ছিনতাইকারী। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মঙ্গলবার রাতে তাদের আটক করা হয়।’
আটক তিনজনকে পরে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। তারা হলেন- সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার কাঠেরপুল এলাকার আলি হোসেনের ছেলে জীবন মিয়া, মিজমিজি বাতানপাড়া এলাকার সওকত আলি সিরাজের ছেলে সুমন মিয়া ও একই এলাকার আসলাম মিয়ার ছেলে জুম্মন মিয়া।
তাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দস্যুতা, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি মশিউর রহমান।
নিহত শাহিন আলম চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার মানিকের কান্দি গ্রামের আইয়ুব আলির ছেলে। তিনি সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এসপি নাজমুল হাসান জানান, পটুয়াখালী জেলার লেবুখালী শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্টে সৈনিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন শাহিন আলম। সাত দিনের ছুটিতে বৃহস্পতিবার বাড়ি যাচ্ছিলেন তিনি। পথে সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল এলাকায় বন্ধুর বাসায় তার রাতযাপনের কথা ছিল।
তিনি মৌচাক বেঙ্গল প্যাসিফিক প্রাইভেট লিমিটেড কারখানার সামনে থেকে মাদানীনগর দশতলা ভবন এলাকায় পৌঁছলে রাত সাড়ে ৩টার সময় তিনি ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন।
তার সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়ার সময় বাধা দিলে ছিনতাইকারী জীবন ও সুমন তাদের হাতে থাকা সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে সেনাসদস্য শাহিন আলমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে পালিয়ে যায়। তাদের সহযোগী ছিল জুম্মান মিয়া।
পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোরে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ১৫ জানুয়ারি হত্যা মামলা হয়।