বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা: নতুন রোগী সাড়ে ৯ হাজার, শনাক্ত হার ২৫.১১

  •    
  • ১৯ জানুয়ারি, ২০২২ ১৬:৩৮

দেশে এ পর্যন্ত করোনার শনাক্ত হয়েছে ১৬ লাখ ৪২ হাজার ২৫৪ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ১৭৬ জনের।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি প্রতিদিনই অবনতি হচ্ছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে সাড়ে ৯ হাজার মানুষের দেহে। শনাক্তের হার ছাড়িয়েছে ২৫ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বুধবার বিকেলে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ গেছে ১২ জনের।

দেশে এ পর্যন্ত করোনার শনাক্ত হয়েছে ১৬ লাখ ৪২ হাজার ২৫৪ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ১৭৬ জনের।

৮৫৫টি ল্যাবে গত এক দিনে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৮৩০ জনের। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ১১, যা গত ১৩ আগস্টের পর সর্বোচ্চ। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ২৫ দশমিক শূন্য ৪।

এক দিনে এর চেয়ে বেশি শনাক্ত ছিল গত ১২ আগস্ট। ওই দিন ১০ হাজার ১২৬ জনের দেহে করোনা শনাক্তের তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

দেশে করোনায় আক্রান্তের হার শতকরা ২ শতাংশের নিচে ছিল গত ডিসেম্বর পর্যন্ত। গেল ১১ জানুয়ারি শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। গত ৯ দিনে ২০ শতাংশ শনাক্তের হার বেড়ে বুধবার শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ১১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

এই পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল গত বছরের আগস্টে। তখন সংক্রমণের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। ভয়াবহ পরিস্থিতি এড়াতে তখন করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি শাটডাউনের সুপারিশ করে

এবার সংক্রমণ হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকলেও এখনও শাটডাউনের চিন্তা নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। কেননা সংক্রমণের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম। সেই সময় দিনে করোনায় শতাধিক মানুষের মৃত্যুর সংবাদ আসলেও এবার এই সংখ্যা থাকছে ১০ থেকে ১২ জনের মধ্যে।

গত ৪ অক্টোবর দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর ৭ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এরপর প্রতিদিনই শনাক্তের হার বেড়েছে। একদিন ছাড়া রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে প্রতিদিন।

বরাবরের মতো সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হওয়া বেশির ভাগই ঢাকা বিভাগের। সাড়ে ৯ হাজারের মধ্যে ৬ হাজার ৩০৩ জনই এই এলাকার। মোট পরীক্ষারও তিন ভাগের দুই ভাগই এই ভাগের।

ঢাকা বিভাগে মৃত্যুও বেশি। ১২ জনের মধ্যে ৮ জনই মারা গেছেন এই বিভাগে। বাকি বিভাগগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামে ২ জন, রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে একজন করে মারা গেছেন।

১২ জনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পুরুষ ১০ জন, নারী ২ জন। তাদের মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ্ব ৬ জন। এ ছাড়া, ২ জন ষাটোর্ধ্ব, ২ সত্তরোর্ধ্ব এবং অশীতিপর ২ জন।

এ বিভাগের আরো খবর