পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে জেলা প্রশাসকদের নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বুধবার ডিসি সম্মেলনে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
মন্ত্রী বলেন, ‘পলিথিনের ব্যবহার বেড়ে গেছে। ডিসিদের বলেছি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য। উপজেলায় প্রতি মাসে দুটি করে এবং বিভাগীয় ও জেলা শহরে মাসে অন্তত একটি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে বলা হয়েছে।
‘আমরা সহযোগিতা চেয়েছি। ১৯টি পণ্যে পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। বিষয়টি ঠিকমত মানা হচ্ছে কিনা সে বিষয়েও ভ্রাম্যমাণ আদালত চালাতে ডিসিদের অনুরোধ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকেও বিষয়টি নজরদারি করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বস্ত্র খাত থেকে এখন বেশি রপ্তানি আয় হয়। পাট খাত অনেক পিছিয়ে ছিল। মহামারির সময় এটি চামড়া খাতকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। পৃথিবীব্যাপী আর্টিফিসিয়াল ফাইবার ডেসক্রাইব করছে, ফলে বিশ্বে পাটের ব্যবহার বেড়ে গেছে, পলিথিন বাদে পাটের ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে।
পাট খাতে রপ্তানি বেড়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তান থাকাকালে পাটখাত থেকে সবথেকে বেশি আয় ছিল। পলিথিন আসার পর সেই বাজার কমে যায়। এই খাতে এখন রপ্তানি বাড়ছে। আমার মনে হয় বস্ত্র ও পাট খাতে রপ্তানি করতে পারলে আমাদের অর্থনীতি আরও বড় হবে।’
সরকারি পাটকল লিজ দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘পাটকলগুলো বন্ধ করে লিজ পদ্ধতিতে যাব। বেসরকারি খাতের হাতে ম্যানেজমেন্ট থাকবে। পাঁচটি টেন্ডার করেছি, মাসেখানেকের মধ্যে বুঝিয়ে দেব।’