বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ট্রাকে চাঁদাবাজি বন্ধ চান কৃষিমন্ত্রী

  •    
  • ১৯ জানুয়ারি, ২০২২ ১৩:২১

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দিনাজপুরে কিংবা ঈশ্বরদী কিংবা সাতক্ষীরায় ফসল হলো, চাষী মাঠ পর্যায়ে বিক্রি করে ১৫ টাকা পাচ্ছে প্রতি কেজিতে, ঢাকায় এসে সেটা কেন ৪০-৪৫ টাকা হবে? এটা হলো মধ্যস্বত্বভোগী বা ফড়িয়া। সারা পৃথিবীতেই মধ্যস্বত্বভোগী আছে। এর বাহিরে আরও কিছু আছে অপ্রত্যাশিত। বিভিন্ন জায়গায় ট্রাক বা গাড়িতে তাদের এক্সট্রা খরচ করতে হয়।’

কৃষিপণ্যে মধ্যস্বত্বভোগী বা ফড়িয়া ছাড়াও গ্রাম থেকে ঢাকায় আসার পথে নানা ধরনের চাঁদা দিতে হয়। ফলে রাজধানীতে এসে বেড়ে যায় পণ্যের দাম।

পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রাজধানীতে আসা কৃষিপণ্যের ট্রাকে চাঁদাবাজি বন্ধে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চেয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে বুধবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে অংশ নেয়ার পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

সম্মেলনে জেলা প্রশাসকদের কি নির্দেশ দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘শুরুতে আমরা যেটা বলার চেষ্টা করেছি, বাংলাদেশ সব সময় খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল, যদিও আমাদের জলবায়ু উৎপাদনের উপযোগী। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা আধুনিক কৃষিতে যেতে পারিনি।

‘দিনাজপুরে কিংবা ঈশ্বরদী কিংবা সাতক্ষীরায় ফসল হলো, চাষী মাঠ পর্যায়ে বিক্রি করে ১৫ টাকা পাচ্ছে প্রতি কেজিতে, ঢাকায় এসে সেটা কেন ৪০-৪৫ টাকা হবে? এটা হলো মধ্যস্বত্বভোগী বা ফড়িয়া। সারা পৃথিবীতেই মধ্যস্বত্বভোগী আছে। এর বাহিরে আরও কিছু আছে অপ্রত্যাশিত। বিভিন্ন জায়গায় ট্রাক বা গাড়িতে তাদের এক্সট্রা খরচ করতে হয়।’

তিনি বলেন, ‘এটাকে কীভাবে কমানো যায়, এখানে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছি। আমরা বলেছি, এটা কতটুকু? প্রত্যেক ডিসিরাই বলেছেন তারা দায়িত্ব নেবেন। কেবিনেট সচিব বলেছেন তারা একটি স্টাডি আমাদের সাথে করাবেন। একটা ট্রাক ঈশ্বরদী বা দিনাজপুর থেকে যে এলো, এটি ঢাকায় এসে অ্যাকচুয়ালি কত দাম পেলো।

‘ট্রাকের খরচ বা কোথাও চাঁদাবাজির স্বীকার যদি তারা হয়ে থাকে তাহলে কতটাকা কোথায় দিলো, সেটা আমরা বের করি। বের করে তারপর আমরা চেষ্টা করবো জাতীয় পর্যায়ে একটি ব্যবস্থা নিতে, যাতে এটি বন্ধ করা যায়। এ বিষয়টি আজ তুলে ধরেছি আর ডিসিদের সহযোগিতা চেয়েছি।’

বিদেশে কৃষিপণ্য রপ্তানি করতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে যাওয়ার জন্য ভ্যাপার হিট ট্রিটমেন্ট করে, যেমন আমের পোকামাকড়। আমরা একটি উদ্যোগ নিয়েছি আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব স্থাপনের। সেখান থেকে তারা একটি সার্টিফিকেট দেবে।

‘পূর্বাচলে প্রধানমন্ত্রী ২ একর জমি দিয়েছেন। সেখানে আমরা ল্যাবরেটরি এবং প্যাকিং হাউজ করছি, এর মাধ্যমে আমাদের বিভিন্ন পণ্য বিদেশে নিতে পারি। আমরা নেদারল্যান্ড গিয়েছিলাম। তাদের সাথে আমাদের একটি সমঝোতা হচ্ছে। টেকনোলজিক্যাল সাপোর্ট দিবে, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করবে।’

এ বিভাগের আরো খবর