বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভিসির পদত্যাগের দাবিতে অনড় শাবি শিক্ষার্থীরা

  •    
  • ১৮ জানুয়ারি, ২০২২ ১২:৩৭

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সামিউল হাসান শাফিন বলেন, ‘উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে কালকে আমরা গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেছি। আজ এই স্বাক্ষরসংবলিত চিঠি রাষ্ট্রপতি বরাবর পাঠাব। আমরা রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করব। তবে এই সময়ে আমাদের আন্দোলনও চলমান থাকবে।’

উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ষষ্ঠ দিনের মতো ​আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের সামনে মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে জড়ো হয়ে মিছিল বের করেন তারা।

মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন হল ঘুরে গোল চত্বরে এসে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

সেখানে আন্দোলনকারীরা জানান, উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষরসংবলিত চিঠি আজ রাষ্ট্রপতি বরাবরে পাঠাবেন তারা।

একই সঙ্গে তাদের আন্দোলন চালিয়ে রাখার ঘোষণা দিয়ে তারা জানান, ​সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করবেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সামিউল হাসান শাফিন বলেন, ‘উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে কালকে আমরা গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেছি। আজ এই স্বাক্ষরসংবলিত চিঠি রাষ্ট্রপতি বরাবর পাঠাবেন। আমরা রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করব। তবে এই সময়ে আমাদের আন্দোলনও চলমান থাকবে।’

আরেক শিক্ষার্থী সুমাইয়া বিনতে বলেন, ‘আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।

‘আন্দোলন নিয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা যাতে গুজবে বিভ্রান্ত না হয়, আমরা এই আহ্বান জানাই।’

বেগম সিরাজুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিনের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে আন্দোলনে নামেন ওই হলের ছাত্রীরা। রোববার আন্দোলনের চতুর্থ দিনে এসে তা সহিংসতায় রূপ নেয়।

এদিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করলে সন্ধ্যায় অ্যাকশনে যায় পুলিশ। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ক্যাম্পাস। লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছুড়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে পুলিশ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সন্ধ্যার পর থেকে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে অবস্থা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের অভিযোগ ভিসির নির্দেশেই পুলিশ হামলা ও গুলি চালিয়েছে।

এই বিক্ষোভের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও হল ছাড়ার নির্দেশনা আসে। এরপর উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ দাবিতে রোববার রাত থেকেই আন্দোলন শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।

এ সময় বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরাও এসে যোগ দেন এই বিক্ষোভে। তারা উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।

সোমবার আন্দোলন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ফলে মঙ্গলবার সকালে ক্যাম্পাসে এসেও নিজেদের কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তাদের নিজ নিজ ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

মঙ্গলবারও উপাচার্যের বাসভভনের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বাসভভনের ভেতরেই রয়েছেন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদ।

সোমবার উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদে দাবি করেন, এই আন্দোলনে ইন্ধন দিচ্ছে বহিরাগতরা।

এ বিভাগের আরো খবর