বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইসি আইন প্রসঙ্গে কাদের: নাথিং ইজ ইম্পসিবল

  •    
  • ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:৩১

আগামী নির্বাচন কমিশন গঠনের আগেই এ-সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন সম্ভব কি না এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সংসদের চলমান অধিবেশনেই এটি পাস করার সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে। কাম অ্যান্ড সি, নাথিং ইজ ইম্পসিবল।’

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইনের খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আগামী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের আগেই এ-সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন সম্ভব কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেছেন, ‘সংসদের চলমান অধিবেশনেই এটি পাস করার সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে। কাম অ্যান্ড সি, নাথিং ইজ ইম্পসিবল।’

সোমবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপ শেষে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

এর আগে সংলাপ করতে বেলা ৩টা ৫৬ মিনিটে বঙ্গভবনে প্রবেশ করে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়। বিকেল ৪টা থেকে ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট সংলাপ শেষে বঙ্গভবন থেকে বের হয় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত মেনে আইন মন্ত্রণালয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন-সংক্রান্ত আইনের খসড়া প্রস্তুত রয়েছে। খসড়াটি আজ মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের পর তা নীতিগতভাবে অনুমোদন পেয়েছে।

‘আইনের খসড়াটি যথাযথ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় (আইন মন্ত্রণালয়) জাতীয় সংসদে পাঠাবে। জাতীয় সংসদ প্রচলিত আইন বিধিবিধান অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।’

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে ইসি গঠনে সার্চ কমিটির জন্য কারও নাম প্রস্তাব করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রক্রিয়াটি শুরু হলো। এটি একটি আইনগত প্রক্রিয়ায় এক দিনেই তো সব হয় না। এই প্রস্তাবের পর আইন নিয়ে আলাপ-আলোচনা হবে।

আইন প্রণয়নে বেশ কিছু ধাপ রয়েছে। আইনটির খসড়া নিয়ে মন্ত্রণালয়ের কমিটিতে আলোচনা হবে। এরপর মন্ত্রিসভার বৈঠকে এটি প্রথমে বিবেচনা এবং পরে চূড়ান্ত বিবেচনার জন্য পেশ করা হবে। মন্ত্রিসভায় পূর্ণাঙ্গভাবে পাস হওয়ার পর সেটি চলে যাবে মন্ত্রিসভা বৈঠকে। পরে খসড়াটি আরও আলোচনার জন্য চলে যাবে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে। সেখানে শুধু ক্ষমতাসীন দল নয়, অন্যান্য দলও রয়েছে। এই কমিটিতে আলাপ-আলোচনা শেষ হলে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আইনটি চলে যাবে সংসদে।’

অল্প সময়ের মধ্যেই আইনটি করা সম্ভব কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কাম অ্যান্ড সি, নাথিং ইজ ইম্পসিবল।’

আগামী নির্বাচন কমিশন গঠনের আগেই আইনটি করা সম্ভব হবে কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের হাতে ভিন্ন কোনো প্রক্রিয়া নেই। অথবা আইন পাসের ক্ষেত্রে আমাদের কাছে কোনো ম্যাজিক তাস নেই। আইন আইনের গতিতেই হবে। আইনের বিকল্প কোনো বিধান নেই। বাংলাদেশে যে প্রক্রিয়ায় আইন পাস হয়, এ ক্ষেত্রেও তাতে বিন্দু পরিমাণ ব্যত্যয় ঘটার কারণ নেই। বিকল্প ভাবার অবকাশই নেই।’

সংসদের চলমান অধিবেশনে আইনটি পাস করা সম্ভব হবে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যেহেতু এটা জন দাবি, সর্বাত্মক প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। জাতীয় স্বার্থে একটা আইন পাস হওয়া দরকার ছিল, আগে হওয়ার কথা ছিল। কেন হবে না, প্রক্রিয়া তো আছে। ৫০ বছরে হয়নি। আমরা প্রথম ও দ্বিতীয়বার পারিনি। তৃতীয়বারের আগেও হয়ে যেতে পারে। আইনটি হলে এবারই হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর