বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নবজাতকের কপালে ৯ সেলাই, নার্সের নামে মামলা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৪:০৯

জেলা সিভিল সার্জন সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ওই হাসপাতালে গিয়ে তদন্ত করেছি। হাসপাতালের কাগজপত্র হালনাগাদ না থাকায় এর কার্যক্রম বন্ধ করেছি। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’

ফরিদপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রসব করানোর সময় নবজাতকের কপাল কেটে ফেলায় চেয়ারম্যান, পরিচালক ও নার্সসহ চারজনের নামে মামলা করেছেন শিশুটির বাবা। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে হাসপাতালের সব ধরনের কার্যক্রম।

শিশুর বাবা শফিক খান কোতোয়ালি থানায় শনিবার রাতে হাসপাতালের চেয়ারম্যান রাহিমা রহমান, তার দুই ছেলে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক জাকারিয়া রহমান মোল্লা পলাশ ও আল হেলাল মোল্লা টগর এবং নার্স চায়না বেগমকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (প্রশাসন ও তদন্ত) গফফার হোসেন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্বজনরা জানান, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার মইজুদ্দিন মাতব্বরপাড়ার প্রসূতি রুপা বেগমকে শনিবার ফরিদপুর শহরের আল-মদিনা প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসক ছাড়াই রুপার সন্তান প্রসব করান আয়া ও নার্স। এ সময় তারা নবজাতকের কপালের একটি অংশ কেটে ফেলেন। কপাল কেটে যাওয়ায় শিশুটির কপালে নয়টি সেলাই দিতে হয়।

ওসি গফফার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পলাশ ও চায়না বেগমকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের ধরার চেষ্টা চলছে।’

নবজাতকের কপাল কেটে যাওয়ার অভিযোগের পর শনিবারই হাসপাতালটি পরিদর্শন করেছেন জেলা সিভিল সার্জন সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফাতেমা করিম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল আলম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার।

সিভিল সার্জন বলেন, ‘আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ওই হাসপাতালে গিয়ে তদন্ত করেছি। এ কারণে আলাদা করে তদন্ত কমিটি করা হয়নি। হাসপাতালের কাগজপত্র হালনাগাদ না থাকায় আমরা এর কার্যক্রম বন্ধ করেছি। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’

এ বিভাগের আরো খবর