বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘরে ঝুলছিল গৃহবধূর মরদেহ, পাশে বসে ছিলেন স্বামী

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১৮:৪৬

ওসি জানান, এ সময় লিজার দেহ ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ছিল। ওই ঘরের খাটের ওপরই বসে ছিলেন সোহেল। পরে স্থানীয়দের দেয়া খবরে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে এবং সোহেলকে আটক করে।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় লিজা খাতুন নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী সোহেল রানাকে আটক করেছে পুলিশ।

অভিযোগ উঠেছে, ৭০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে লিজাকে মারধর করে হত্যা করেছেন সোহেল।

উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের কাফুরা পূর্বপাড়া গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে রোববার দুপুরে লিজার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত লিজা ওই ইউনিয়নের ভাতারিয়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে। সোহেল রানা পেশায় লোকাল বাসের সহযোগী।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে সোহেল ও লিজার বিয়ে হয়। তবে সোহেলের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। আগের স্ত্রীর সঙ্গে সোহেলের ছাড়াছাড়ি হয়। পরে লিজাকে বিয়ে করেন সোহেল। সোহেল ও লিজার সংসারে ১০ মাস বয়সী রাহিম নামে এক ছেলেসন্তান রয়েছে।

লিজাকে তার স্বামী সোহেল প্রায়ই বাবার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসতে চাপ দিতেন। এ বিষয় নিয়েও তারা মাঝেমধ্যেই বাগবিতণ্ডায় জড়াতেন।

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম।

স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, শনিবার রাতে সোহেল তার স্ত্রী লিজার কাছে ৭০ টাকা দেন। রোববার সকালে সেই টাকা ফেরত চান সোহেল। কিন্তু লিজা তাকে বলেন টাকা খরচ হয়ে গেছে। টাকা খরচের কথা শুনেই লিজার সঙ্গে সোহেলের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে লিজাকে মারধর শুরু করেন তিনি। পরে দুপুরে পরিবারের সদস্যরা লিজার ঘর থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।

ওসি আরও জানান, এ সময় লিজার দেহ ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ছিল। ওই ঘরের খাটের ওপরই বসে ছিলেন সোহেল। পরে স্থানীয়দের দেয়া খবরে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে এবং সোহেলকে আটক করে।

শেরপুর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম জানান, গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। মৃতের স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর