মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রমজানপুর এলাকার বাঁশতলা কেন্দ্রীয় ঈদগাঁও জামে মসজিদের নামে দান করা জমি আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
এর প্রতিবাদ ও অভিযুক্ত হারুন হাওলাদের বিচারের দাবিতে রোববার দুপুরে কালকিনি উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে প্রতিবাদ সভা করেছেন মসজিদ কমিটি ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
তবে অভিযোগ বানোয়াট বলে দাবি করেছেন হারুন। পুলিশ বলছে, তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।
রমজানপুর চরআইর কান্দি গ্রামে নির্মিত বাঁশতলা কেন্দ্রীয় ঈদগাঁও মসজিদের নামে প্রায় ৩৪ শতাংশ জমি দান করেন একই এলাকার নিজাম সরদার।
বাঁশতলা কেন্দ্রীয় ঈদগাঁও জামে মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি গোলাম মস্তফা খোকন অভিযোগ করে বলেন, ‘মসজিদের কিছু জমি আত্মসাৎ করতে ইসলামিয়া কিন্ডারগার্টেন নামে একটি কেজি স্কুল নির্মাণ করেছেন একই এলাকার হারুন হাওলাদার।’
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘রমজানপুর এলাকার দানবীর খ্যাত গোলাম মস্তফা খোকনের সহযোগিতায় মসজিদের উন্নয়ন, ইমাম মুয়াজ্জিনের বেতন ভাতা চলছে। একই এলাকার নিজাম সরদারের ৩৪ শতাংশ জমি কিনে মসজিদের নামে দান করেছেন। তবে দুঃখের বিষয় হারুন হাওলাদার প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ওই জমিতে নিজের অংশ আছে দাবি করে মসজিদের জমি আত্মসাতের পাঁয়তারা চালাচ্ছেন।
‘এ ছাড়া হারুন এই মসজিদের জমিতে একটি মাদ্রাসা নির্মাণ করবেন বলে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে জেলা পরিষদ থেকে গোপনে এক লাখ টাকা এনে নিজেই ভোগ করেছেন। আমরা তার বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা পরিষদের সদস্য কামরুল হাসান মন্টু বলেন, ‘হারুন হাওলাদার মসজিদের জমিতে মাদ্রাসা নির্মাণ করবেন এমন দরখাস্ত দিয়ে জেলা পরিষদ থেকে দুই দফায় মোট ১ লাখ টাকা নিয়েছেন।’
প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত আরও ছিলেন নিজাম সরদার, এনায়েত সরদার, রুবেল হাওলাদার, ছিদ্দিকুর রহমান, কিরন হোসেন, লিটন হোসেন ও শাহআলম ফকিরসহ আরও অনেকে।
তবে অভিযোগের বিষয়ে হারুন হাওলাদার বলেন, ‘আমি মসজিদের কোনো জমি আত্মসাতের চেষ্টা করিনি। আমার নিজস্ব জায়গায় ইসলামিয়া কিন্ডারগার্টেন নামে একটি কেজি স্কুল নির্মাণ করেছি। যারা অভিযোগ দিয়েছেন তারা মিথ্যা বলেছেন। বিষয়টি বানোয়াট।’
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, ‘মসজিদের জমির বিষয়ে আমরা অবগত আছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’