বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদ্রোহীদের চ্যালেঞ্জে নৌকা

  •    
  • ১৫ জানুয়ারি, ২০২২ ১৮:৪৪

নৌকার প্রার্থী মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামালের বিরুদ্ধে মাঠে আছেন তিন বিদ্রোহী প্রার্থী। এ অবস্থায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কম্পিউটার প্রতীকের প্রার্থী ইমরান হাসান সামাদ দলীয়ভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন।

সীমানা জটিলতার কারণে ২১ বছর পর যশোরের ঝিকরগাছা পৌরসভার ভোট হচ্ছে রোববার।

এবারের পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জে পড়েছেন নৌকার প্রার্থী। বিগত জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে পৌরসভার ৬০-৬৫ শতাংশ ভোট নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা পেলেও এবার অবস্থা ভিন্ন।

নির্বাচন না হওয়ায় টানা ২১ বছরের মেয়র এবং এবারের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামালের বিরুদ্ধে মাঠে রয়েছেন তিন বিদ্রোহী প্রার্থী।

এ অবস্থায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কম্পিউটার প্রতীকের প্রার্থী ইমরান হাসান সামাদ দলীয়ভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন।

আওয়ামী লীগের তিন বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক এ কে এম আমানুল কাদির টুল্লু ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ছেলিমুল হক সালাম।

এ ছাড়া মাঠে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল সাঈদ। এরই মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম মুকুল নির্বাচন থেকে সরে নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন।

নির্বাচন অফিস জানায়, ঝিকরগাছা পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ১৪টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে।

জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করতে ৯টি ওয়ার্ডে ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত করা হয়েছে। পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বাইরে র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবির সার্বক্ষণিক মোবাইল টিম থাকবে।

পৌরসভা তথ্যসূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে ৪ এপ্রিল উপজেলা সদরের ৯ দশমিক ৪৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ঝিকরগাছা পৌরসভা ঘোষণা করা হয়। তখন নবগঠিত পৌরসভার প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছিল। ২০০১ সালের ২ এপ্রিল ঝিকরগাছা পৌরসভায় প্রথম নির্বাচন হয়। তখন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল।

২০০৬ সালের প্রথম দিকে পৌরসভার সীমানা বাড়ানো হয়। এতে সদর ইউনিয়নের মল্লিকপুর, ফারাসাতপুর, পদ্মপুকুর পানিসারা ইউনিয়নের পুরন্দপুর, কাউরিয়া ও গদখালী ইউনিয়নের বারবাকপুর ও বামনআলী গ্রামের অংশবিশেষ পৌরসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়।

অভিযোগ আছে, এসব অঞ্চল বিএনপির ভোটার অধ্যুষিত হওয়ায় নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বিএনপি সরকার এ অঞ্চলকে পৌরসভায় অন্তর্ভুক্ত করে। কিন্তু এসব অঞ্চল প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় পৌরসভায় অন্তর্ভুক্ত না হতে এলাকাবাসী কর্মসূচি পালন করে।

একপর্যায়ে কাউরিয়া গ্রামের শাহিনুর রহমান, বামনআলী গ্রামের শাহাদৎ হোসেন ও মল্লিকপুর গ্রামের সাইফুজ্জামান পৌরসভায় অন্তর্ভুক্ত না হতে হাইকোর্টে আলাদা তিনটি রিট করেন। আর এতেই আটকে যায় ঝিকরগাছা পৌরসভা নির্বাচন। ২০০৬ সালের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা স্থগিত করে হাইকোর্ট।

এরপর দুই দশক পর গত ৩০ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করে। সে ঘোষণা অনুযায়ী রোববার ঝিকরগাছায় ভোট হতে যাচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর