সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেই অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন বগুড়ার শেরপুরের জাহিদুল ইসলাম। বর্তমানে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অচেতন অবস্থায় আছেন ২৮ বছরের এই প্রবাসী যুবক।
এর আগে ঢাকার উত্তরা থেকে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের একটি বাসে চড়ে বসেছিলেন জাহিদুল।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার তার স্ত্রী মোছা. জান্নাতি খাতুন শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের ভদ্রপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম। পাঁচ বছর আগে তিনি সৌদি আরবে যান।
গত ১৩ জানুয়ারি সকালে দেশে ফেরেন জাহিদুল। বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বিমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে প্রথমে ঢাকার উত্তরায় যান। পরে সেখান থেকে শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের কাউন্টার থেকে টিকিট নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে বেলা সাড়ে ১১টার বাসে চড়ে বসেন।
বাসের মধ্যেই প্রবাসী জাহিদুলকে অজ্ঞান করে তার কাছে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা, হ্যান্ডব্যাগে থাকা আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার, দুটি মোবাইল ফোন, তিনটি বড় ব্যাগভর্তি মালামাল লুটে নেয়া হয়।
এ ছাড়া তার কাছে থাকা সৌদি রিয়াল ও ডলারের পরিমাণের বিষয়টি নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি। অচেতন অবস্থায় সেদিন সন্ধ্যার পর শেরপুর উপজেলার দশমাইল এলাকার পল্লী উন্নয়ন অ্যাকাডেমির সামনে জাহিদুলকে ফেলে রেখে বাস চলে যায়।
স্ত্রী জান্নাতি জানান, মহাসড়কের পাশে স্বামীকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে খবর দেয়া হয়। পরে তিনিসহ পরিবারের সদস্যরা এসে জাহিদুলকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন জাহিদ। এখনও তার জ্ঞান ফেরেনি।
শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের ওই বাসের চালক ও তার সহকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানান, জাহিদুলের পাশের আসনের যাত্রীসহ দুজন যাত্রী টাঙ্গাইলে নেমে গেছেন। এ ছাড়া কোথাও কোনো যাত্রী নামেননি। সম্ভবত তারাই অজ্ঞান পার্টির সদস্য। যাত্রীবেশে বাসে উঠে জাহিদুলের পাশে বসে কোনো কিছু খাইয়ে তাকে অচেতন করে ফেলেন। পরে সবকিছু লুট করে বাস থেকে নেমে যান।
শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা এবং খোয়া যাওয়া মালামাল উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তা করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।