নোয়াখালীর চাটখিলে স্কুলছাত্রকে এক দিনে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ফাইজারের টিকার একাধিক ডোজ দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলছেন, ভুলবশত ওই ছাত্রকে দুই ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে, তবে স্কুলছাত্রের দাবি, তাকে তিনটি টিকা দেয়া হয়।
ওই ছাত্রের নাম মো. ইয়াছিন হোসেন আরাফাত। সে চাটখিলের হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের ইব্রাহীম খলিলের ছেলে।
আরাফাত হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। তার দাদা আবুল কালাম ভান্ডারি জানান, তিন ডোজ টিকা নেয়ার পর আরাফাতের গলা ব্যথা ও জ্বর এসেছে। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যরা শঙ্কায় রয়েছেন। বর্তমানে সে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।
আরাফাতের বরাত দিয়ে হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হানিফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে আমার স্কুলের শতাধিক শিক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ নিতে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। ওই সময় আরাফাতের বাহুতে পরপর তিন ডোজ টিকা দেন টিকাদানকর্মী দিদার হোসেন। পরে অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্কুলে ফিরে সে বিষয়টি আমাকে জানায়। আমি তখন তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাদের অবহিত করি।’
এ বিষয়ে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. মোস্তাক বলেন, ‘তিনটি নয়, ভুলবশত দুই ডোজ টিকা ওই শিক্ষার্থীকে দেয়া হয়। সে সুস্থ আছে। বর্তমানে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্ত কর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।’