এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ২১ জানুয়ারি।
বৃহস্পতিবার নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান আন্তশিক্ষা বোর্ড কমিটির সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘এসএসসি ও সমমানের পুনর্নিরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ২১ জানুয়ারি। এ জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ন কমিটি।’
গত ৩১ ডিসেম্বর এসএসসি ও সমমানের পুনর্নিরীক্ষার আবেদন শুরু হয়, যা শেষ হয় ৬ জানুয়ারি।
এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় গত ৩০ ডিসেম্বর। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলে এবার পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৮, যা দেশে এ-যাবৎকালে সর্বোচ্চ।
গত বছর থেকে এ বছরে সার্বিক পাসের হার বেড়েছে ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ। ২০২০ শিক্ষাবর্ষে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৭ লাখ ৯২ হাজার ৩১২ জন। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার ৬২৫ জন।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে এবার পাসের হার ৯৩ দশমিক ২২ শতাংশ। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৯২ হাজার ৫৬৯ জন। জিপিএ ফাইভ পাওয়া শিক্ষার্থী ১৪ হাজার ৩১৩ জন। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাসের হার ৮৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ। জিপিএ ফাইভ পাওয়া শিক্ষার্থী ৫ হাজার ১৮৭ জন।
এবারও শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে মেয়েরা। মোট ছেলে পরীক্ষার্থী ছিল ১১ লাখ ৪২ হাজার ৯৪ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৬২৮ জন। আর মেয়ে পরীক্ষার্থী ছিল ১০ লাখ ৯৮ হাজার ৩০১ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ১০ লাখ ৩৭ হাজার ৯১৮ জন।
গত বছর ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ১৩ শতাংশ, আর ছাত্রীদের পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ২৮ শতাংশ।
এবার জিপিএ ফাইভ পাওয়াদের মধ্যেও এগিয়ে মেয়েরা। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে মোট ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ১ লাখ ৩ হাজার ৫৭৮ জন। ছাত্র ৭৯ হাজার ৭৬২ জন। জিপিএ ফাইভ পাওয়ায় মেয়েদের হার ৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ছেলেদের হার ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
গত বছর পাঁচে পাঁচ পাওয়া ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রী ছিল ৭০ হাজার ১৪৪ জন। আর ছাত্র ৬৫ হাজার ৭৫৪ জন।
সাধারণত প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হলেও এ বছর করোনা মহামারির কারণে পরীক্ষা হয় নভেম্বরে।
এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন বেড়েছে। গতবার পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন।