ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের নুরুজ্জামান ভুট্টো টানা দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান পদে শপথ নিয়েছেন। জেলা কারাগার থেকে বৃহস্পতিবার আড়াই ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি নিয়ে শপথ নেন তিনি। একটি হত্যা মামলায় কারাগারে আছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
সকালে তাকে শপথ পাঠ করান জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান। কারাগারে থাকায় ওই উপজেলার বাকি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে গত ১১ জানুয়ারি শপথ নিতে পারেননি ভুট্টো।
এই শপথ ঘিরে ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার ছিল। শপথ শেষে হাতকড়া খোলা অবস্থায় তাকে কারাগারে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। আদালত পরিদর্শক অবশ্য এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। জানিয়েছেন, শপথ পাঠের জন্য হাতকড়া খোলা হয়েছিল।
ফেনীর জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান বলেন, ‘নুরুজ্জামান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্যারোলে মুক্তি নিয়ে শপথ নিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাটি বিচারাধীন। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করছি না।’
ভুট্টোর বিরুদ্ধে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পরশুরাম উপজেলার দক্ষিণ কোলাপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী শাহীন চৌধুরী ভুট্টোর সহযোগী হাসেমের কাছে টাকা পেতেন। গত ২৩ ডিসেম্বর তিনি পাওনা টাকা চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান ভুট্টোকে ডাকেন হাসেম। খবর পেয়ে দলবল নিয়ে শাহীনকে বেদম পেটান ভুট্টো। হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন শাহীনের স্ত্রী ফিরোজা বেগম পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আরও পাঁচ-ছয়জনের নামে পরশুরাম থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে দুই নম্বর আসামি করা হয় ভুট্টোকে। ৫ জানুয়ারি র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন ভুট্টো। এর আগে আরও চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শাহীনের স্ত্রী ফিরোজা বেগম বলেন, ‘হার্ডওয়্যারের ৭ লাখ টাকার মালপত্র বাকিতে কেনেন হাসেম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি। তিনি ভুট্টোর সহযোগী। ঘটনার দিন বাজারে হাসেমের সঙ্গে দেখা হলে টাকা চান শাহীন। এ সময় ভুট্টোকে ডাকেন হাসেম। ভুট্টো তার সহযোগীদের নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন শাহীনকে।
গত ২৮ নভেম্বর পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর, চিথলিয়া ও বক্সমাহমুদ ইউনিয়নে ভোট হয়।