গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার ৫ নম্বর ফরিদপুর ইউনিয়নের ঘেগারবাজার এলাকায় বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় কার্যালয়ে থাকা ছয় কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুর আজম মণ্ডল নিরব।
তিনি জানান, অফিসে ভাঙচুরের সঙ্গে নষ্ট করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি।এ ছাড়াও চারটি মোটরসাইকেল ও বাজারের কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে লুটপাট চালায় হামলাকারীরা।
নিরব বলেন, ‘রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমার কর্মী-সমর্থকরা ঘেগার বাজারের নির্বাচনি অফিসে ছিলেন। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ময়নুল প্রধানের কর্মী-সমর্থকসহ অন্তত ৩০-৪০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে।
‘এতে রনজিত ও টুটুল মিয়াসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর থেকে অ্যাপাচি ও বাজাজ সিটির দুটি মোটরসাইকেলের খোঁজও পাওয়া যাচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘হামলার ঘটনায় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে প্রার্থী ময়নুল প্রধানের ভাই মামুন, মিজানুর, চাচা কালাম, মতিয়ার, বোনজামাই আল-আমিন ও ভাগ্নে জিমসহ ভাড়াটিয়া লোকজন অংশ নেয়।’
আওয়ামী লীগের প্রার্থী জানান, আহত কর্মীদের মধ্যে রনজিত ও টুটুল মিয়াকে শুরুতে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত সাজু, ডা. মামুন, আশরাফুল ও শহিদুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন বলেও জানান তিনি।
৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ময়নুল প্রধানের সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিরবের, তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ময়নুল প্রধান।
তার দাবি, নৌকার কর্মীদের হামলায় শাকিল, ইয়াকুব ও জিসানসহ তাদের চার কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।
হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার।
তিনি জানান, হামলার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ঘটনাটি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।