বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চেঙ্গী নদীতে চালু হলো স্বপ্নের সেতু

  •    
  • ১২ জানুয়ারি, ২০২২ ১৩:১৪

নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা বলেন, ‘সেতুটি চালু হওয়ায় এখন সহজেই মানুষ কৃষিপণ্য বিভিন্ন জায়গায় বাজারজাত করতে পারবে। এখন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় অনেক সুবিধা পাবে নানিয়ারচরবাসী। একই সঙ্গে পর্যটকদের অনেক সময় বাঁচবে।’

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানের পর চালু হলো রাঙ্গামাটির কাপ্তাই লেকে চেঙ্গী নদীর ওপর নির্মিত ৫০০ মিটারে সেতু।

বুধবার বেলা ১১টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নানিয়ারচর উপজেলার এই সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদুর রহমান, গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার মো. কামাল মামুন ও ইসিবির ২০ কর্মকর্তাসহ জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সেতুটি চালু হওয়ায় খুশি পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ। তাদের মতে, দুর্গম এ অঞ্চলের তিন উপজেলার মানুষের মধ্যে বন্ধন গড়ে তুলবে সেতুটি।

স্থানীয়রা বলছেন, চেঙ্গী সেতুর সুফল ভোগ করবে নানিয়ারচরের প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। সেতুটি চালু হওয়ায় যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি এখানকার মানুষের শিক্ষা, চিকিৎসা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নও বাড়বে। পর্যটন খাতেও এর প্রভাব পড়বে সরাসরি।

নানিয়ারচরের বাসিন্দা লিলি চাকমা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সেতুটি নির্মাণের ফলে এখন আর পানিপথে আসতে হবে না। এখন যাতায়াতে অনেক সুবিধা হয়েছে।’

চেঙ্গী নদীর ওপর নির্মিত এই সেতু চালু হওয়ায় খুশি পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষ। ছবি: নিউজবাংলা

ইমন চাকমা বলেন, ‘এখন সব ধরনের যান নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করা সম্ভব হবে।’

নানিয়ারচর সেতু প্রকল্প অফিস সূত্রে জানা যায়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে সেতুটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার্স কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন (ইসিবি) ইউনিট।

তাদের মতে, সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মিত হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে রাঙ্গামাটি থেকে লংগদু-বাঘাইছড়ি শুরু করে মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালিসহ খাগড়াছড়ি জেলায়ও যাওয়া যাবে।

সেতু প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নানিয়ারচরের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০২১ সালের জুনে নির্মাণকাজ শেষ হয়।

এটি পার্বত্য চট্টগ্রামের সবচেয়ে দীর্ঘ সেতু। এর দৈর্ঘ্য ৫০০ মিটার এবং প্রস্থ ৯.৮ মিটার। এ প্রকল্পে মোট বাজেট ২২৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এ ছাড়া সেতুর সংযোগ সড়ক রয়েছে ২.২ মিটার। এ সড়কের প্রস্থ ৭.৯ মিটার।

নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা বলেন, ‘সেতুটি চালু হওয়ায় এখন সহজেই মানুষ কৃষিপণ্য বিভিন্ন জায়গায় বাজারজাত করতে পারবে। এটি চালু হওয়ায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় অনেক সুবিধা পাবে নানিয়ারচরবাসী। একই সঙ্গে পর্যটকদের অনেক সময় বাঁচবে।’

এ বিভাগের আরো খবর