ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা চালুর দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের একটি অংশ।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় তারা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। এর আগে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগের দাবিতে স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা রাজু ভাস্কর্যে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা তাদের ভাড়া করা মাইকওয়ালাকে চলে যেতে বাধ্য করে। এরপর তারা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।
তবে প্রক্টরিয়াল টিম এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা না করে ফিরবেন না বলে ঘোষণা দেন।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর বদরুজ্জামান ভুঁইয়া কাঞ্চন এসে শিক্ষার্থীদের দুজন প্রতিনিধিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে নিয়ে যান। এ সময় বাকি শিক্ষার্থীরা কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান নিয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
মনিপুর কলেজের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন সরকার বলেন, ‘যারা প্রথমবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ভালো বিষয় পায় না, তাদের মধ্যে অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মাথায় রেখে যুগোপযোগী বিষয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের পড়তে চাওয়াটা স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার মতো নম্বর কাটার বিধান রেখে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দিতে পারে।’
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. সাইদ বলেন, ‘ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর থেকেই আমাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হচ্ছে। আমরা আত্মীয়স্বজন এমনকি নিজের পরিবারের সদস্যদের সামনে মুখ দেখাতে পারছি না। আমাদের মধ্যে কেউ মেধাক্রমে পিছিয়ে থাকার কারণে ভালো সাবজেক্ট পাইনি।
‘আবার কেউ করোনার কারণে পরীক্ষা দিতে পারেনি। এ দেশে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরাও আপিলের জন্য সেকেন্ড চান্স পায়। তাহলে আমরা কেন ঢাবিতে আরেকবার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ পাব না?’
মাইজদী পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী মুহিদুল ইসলাম দাওদ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড দাবি করে, কিন্তু সেকেন্ড টাইম পরীক্ষার সুযোগ দিতে পারে না। আমরা কেউ এমন না যে পড়ালেখা করিনি। আমাদের সুযোগ দেয়া হোক। আমাদের বিশ্বাস, আমরা আবার পরীক্ষা দিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাব।’