বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাজমুল হাসান অরেঞ্জ হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি রাসেলের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, অভিযান চালিয়ে পুলিশ মঙ্গলবার রাতে শহরের ডাবতলা মোড়ের একটি ড্রেন থেকে পিস্তলটি উদ্ধার করে।
বুধবার সকালে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা।
তিনি জানান, মামলার ১ নম্বর আসামি রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসে। তার দেয়া তথ্য মতেই শহরের একটি ড্রেন থেকে পিস্তলটি উদ্ধার করা হয়।
গত ২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে বগুড়া শহরের মালগ্রামের ডাবতলা এলাকায় অরেঞ্জকে গুলি করে প্রতিপক্ষ। এ সময় তার বন্ধু আরেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিনহাজ শেখ আপেলও গুলিবিদ্ধ হন। অরেঞ্জের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত ১১টার দিকে অরেঞ্জের মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধের জের ধরে অরেঞ্জ ও আপেলকে গুলি করা হয়। এর আগে রমজানের ঈদের পর একবার হামলার ঘটনা ঘটেছিল। ওই হামলার শিকার গ্রুপটিই প্রতিশোধ নিতে এবার গুলি চালায়।
ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে অরেঞ্জ ও আপেল মালগ্রাম ডাবতলার মোড়ে বসে কথা বলছিলেন। এ সময় মালগ্রাম বেলতলা মোড় থেকে ৪/৫টি মোটরসাইকেলে একদল যুবক ডাবতলা মোড়ের দিকে যায়। তাদের মধ্য থেকে দুজন অরেঞ্জ ও আপেলকে লক্ষ্য করে পর পর কয়েকটি গুলি ছোড়ে। দুটি গুলি অরেঞ্জের বাম চোখের নিচে লাগে। আর তার সঙ্গে থাকা আপেলের পেটে লাগে।
পরে অরেঞ্জের স্ত্রী স্বর্নালি আক্তার বাদী হয়ে ওই দিন রাতেই সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন বগুড়া মালগ্রামের রাসেল আহমেদ, রাসেলের ছোট ভাই রাছানী, শহরের ডাবতলা মোড় এলাকার খাইরুল ইসলাম, একই এলাকার সুমন, বেলতলা এলাকার শাকিব, মালগ্রাম এলাকার হাবিব এবং একই এলাকার টিপু।
এর মধ্যে এখন পর্যন্ত মামলার প্রধান আসামি রাসেল আহমেদ, ৩ নম্বর আসামি খাইরুল ইসলাম ও ৭ নম্বর আসামি টিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।