ঢাকা ও রাঙ্গামাটি জেলাকে করোনা সংক্রমণের রেড জোন বা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ছাড়া হলুদ জোন বা মধ্যম ঝুঁকিতে রয়েছে ছয়টি জেলা। আর গ্রিন বা সবুজ জোনে রয়েছে ৫৪টি জেলা।
গত এক সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
প্রতিষ্ঠানটির তথ্যে দেখা যায়, রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের হার ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ। রাঙ্গামাটিতে করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ।
দেশের বিভিন্ন জেলায় করোনা সংক্রমণের হার।
এ ছাড়া হলুদ জোন বা মধ্যম ঝুঁকিতে আছে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা যশোর, রাজশাহী, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নাটোর ও রংপুর জেলা।
আর সংক্রমণের গ্রিন জোন বা ক্ষীণ ঝুঁকিতে আছে ৫৪ জেলা। অন্যদিকে পঞ্চগড় ও বান্দরবান জেলায় নমুনা পরীক্ষার হার খুবই কম হয়েছে বলে জানায় অধিদপ্তর।
আগের সাত দিনের চেয়ে গত সাত দিনে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে ১৬৯ দশমিক ১২ শতাংশ। তবে মৃত্যু হার কমেছে ২০ শতাংশ।
গত বছর করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকাকে রেড জোন চিহ্নিত করে জোনভিত্তিক লকডাউন করার পরিকল্পনা করেছিল সরকার।
তাতে অনেক ভালো সফলতা এলেও এবার লকডাউনের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন করোনায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে আমাদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া। শুধু এলাকাভিত্তিক নয়, কোনো লকডাউনের পক্ষে নয় আমরা। কারণ লকডাউন সেইভাবে মানা হয় না। শুধু শুধু জনজীবনে দুর্ভোগ তৈরি হয়।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা রেড জোন হবে, মাঝারিটা হবে ইয়েলো আর যেসব এলাকায় সংক্রমণ নেই বা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে সংক্রমণ হয়েছে সেসব এলাকা থাকবে গ্রিন জোনে।’
গ্রিন জোনকে নিরাপদ হিসেবে ধরে নেয়া হলেও সেসব এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, জনসমাগম না করা, অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার মতো নিয়ম মেনে চলতে হবে মানুষকে এমন নির্দেশনাও দেয়া হয়।
তবে এবার এ বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছুই আলোচনা হয়নি বলে জানান এই বিশেষজ্ঞ।
গত কয়েক দিন থেকেই দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এরই মধ্যে সরকার আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে দেশে করোনা প্রতিরোধে ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে।
করোনা সংক্রমণজনিত বিধিনিষেধ জারির পরের দিনই দেশে ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৪৫৮ জনের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্তের কথা জানানো হয়। পরীক্ষাও বিবেচনা শনাক্তের হার এ সময় বেড়ে ৯ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে।