বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কন্যাকে ধর্ষণের মামলায় বিএনপি নেতা জেলে

  •    
  • ১১ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:০৪

বাদী অভিযোগ করেন, রুমি চার বছর বয়সী কন্যাকে কয়েক দফা নিয়ে যান কলাবাগানের বাসায়। গত বছর ১৩ অক্টোবর শিশুর পোশাক বদলানোর সময় মা শরীরে নির্যাতনের ছাপ দেখতে পান। এরপর শিশুর বর্ণনা শুনে মা শারীরিক নিপীড়ন ও নিগ্রহের কথা জানতে পারেন।

নিজ শিশুসন্তানকে ধর্ষণের মামলায় ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. ইব্রাহীম রহমান রুমিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক জুলফিকার হায়াতের আদালতে মঙ্গলবার রুমি আত্মসমর্পণ করেন।

আদালতে আসামির আইনজীবী তানজির মান্নান ও মিজানুর রহমান জামিন শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মাহমুদা আক্তার জামিনের বিরোধিতা করেন।উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামি রুমিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, নিজের চার বছরের কন্যাসন্তানকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে রাজধানীর কলাবাগান থানায় গত ১ ডিসেম্বর মামলা করেন রুমির সাবেক স্ত্রী।

এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ২৬ জুন পারিবারিকভাবে ডা. ইব্রাহীম রহমান রুমির সঙ্গে বাদীর বিয়ে হয়। এরপর তাদের কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। সংসারজীবনে বনিবনা না হলে গত বছরের ২৬ আগস্ট রুমির সঙ্গে বাদীর দাম্পত্য বিচ্ছেদ ঘটে।

বিচ্ছেদের পর গত বছরের ২৩ মার্চ বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টায় বাদীর অনুপস্থিতিতে চার বছরের শিশুকন্যাকে উত্তরার বাসা থেকে নিয়ে যান রুমি। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রুমি তার কন্যাকে নিজ হেফাজতে রাখেন কলাবাগানের বাসায়। সে সময় কন্যাকে ফেরত চাইলেও রুমি রাজি হননি। পরে ২২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের আদেশে কন্যাকে ফেরত দিতে বাধ্য হন।

এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, রুমি ফের ১২ অক্টোবর রাত আনুমানিক ৮টায় কন্যাকে নিয়ে যান কলাবাগানের বাসায়। পরদিন দুপুর ১২টার দিকে শিশুর মা কলাবাগান থেকে কন্যাকে উত্তরায় নিয়ে যান। শিশুর পোশাক বদলানোর সময় মা শরীরে নির্যাতনের ছাপ দেখতে পান। এরপর শিশুর বর্ণনা শুনে মা শারীরিক নিপীড়ন ও নিগ্রহের কথা জানতে পারেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, কলাবাগানের বাসাতে নিয়ে রুমে কয়েক দফায় মেয়েকে যৌন নির্যাতন করেন। নিপীড়নের শিকার শিশুসন্তানকে ২৭ নভেম্বর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর শিশুটিকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তির জন্য রেফার করেন। নির্যাতনের শিকার শিশুর যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তিন দিন পর ছাড়পত্র দেয়া হয়।

আসামি ডা. ইব্রাহীম রহমান রুমি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঝিনাইদহের সাবেক সংসদ সদস্য মসিউর রহমানের ছেলে। রুমি ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হলে রুমি বেশ কয়েক দিন পলাতক ছিলেন। একপর্যায়ে হাইকোর্টে আগাম জামিন চাইলে তা পাননি। সে কারণে মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান।

এ বিভাগের আরো খবর