রাজধানীর শ্যামলীতে ‘আমার বাংলাদেশ হাসপাতাল’ থেকে যমজ শিশুকে চিকিৎসা না দিয়ে বের করে দেয়ার ঘটনায় হাসপাতালের মালিক মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার হাসপাতালের মালিক গোলাম সারওয়ারকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর আদালতের মাধ্যমে দুই দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ মঙ্গলবার তাকে ফের আদালতে হাজির করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) সাইফুল ইসলাম আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামির আইনজীবী জামিন আবেদন জানান।
ঢাকার মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী আসামিকে কারাগারে পাঠিয়ে জামিন শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য্য করেন।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মোহাম্মদপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) শরীফুল ইসলাম।
বিল পরিশোধ না করতে পারায় গত ৬ জানুয়ারি আমার বাংলাদেশ হসপিটাল থেকে বের করে দিলে যমজ শিশুর একজনের মৃত্যু হয়। আহমেদ নামের সেই শিশুর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। অপর শিশুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়।
যমজ শিশুর মা আয়েশা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘ঠাণ্ডাজনিত কারণে ৩১ ডিসেম্বর শহিদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করি দুই বাচ্চাকে। রোববার সেখানে থেকে বলা হয়েছে, তাদেরকে এনআইসিইউতে নিতে হবে। তখন এক অ্যাম্বুলেন্স চালক আমাকে কৌশলে আমার বাংলাদেশ হসপিটালে নিয়ে যান। ওই হাসপাতালে শিশু দুটি চিকিৎসা নিচ্ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছয় দিন ভর্তি দেখিয়ে আমাদের কাছে ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা দাবি করে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ৫০ হাজার ৫ শ টাকা দিয়েছি। আর পারিনি। তাদের হাত-পায়ে ধরেও লাভ হয়নি। শিশুদের বাবা দু মাস আগে সৌদি গেছেন। সেখান থেকে তিনি যা টাকা পাঠিয়েছিলেন তা হাসপাতালে দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে আমাদের জোর করে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়া হয়।’