করোনা সংক্রমণ ও শনাক্তে হার দুইটার ধারাবাহিকভাবে বাড়ছেই।
করোনা সংক্রমণজনিত বিধিনিষেধ জারির পর দিন ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৪৫৮ জনের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্তের কথা জানানো হয়েছে। পরীক্ষাও বিবেচনা শনাক্তে হার বেড়ে ৯ শনাক্তের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মঙ্গলবার বিকেলে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তবে রোগী বাড়লেও মৃত্যুর হার কমই আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ৮৫২ টি ল্যাবে ২৭ হাজার ৩৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৯৭। এই হার গত ৮ সেপ্টেম্বরের পর সবচেয়ে বেশি। সেদিন পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ৭ শতাংশ।
এ নিয়ে টানা ৫ দিন শনাক্তের হার ৫ শতাংশের বেশি হলো, যা করোনার তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী পর পর দুই সপ্তাহ শনাক্তের হার ৫ শতাংশের বেশি হলে করোনার আরেকটি ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধরে নিতে হবে।
আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ। তার আগের দিন ছিল ৬.৭৮ শতাংশ।
গত ৪ নভেম্বর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর প্রথমবারের মতো তা ৫ শতাংশ ছাড়ায় গত ৭ জানুয়ারি। সেদিন পরীক্ষার বিপরীকে শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ৮ জানুয়ারি তা আরও বেড়ে হয় ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
শনাক্তের হারের পাশাপাশি রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। সোমবার ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ২৩১ জনের দেহে করোনা শনাক্তের কথা জানানো হয়।
রোববার রোগী পাওয়া যায় ১ হাজার ৪৯১ জন যা শনিবার ছিল ১ হাজার ১১৬ জন।
করোনার সংক্রমণ বেড়ে চলার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার দেশে নতুন করে বিধিনিষেধ দিয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে গণপরিবহনে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী বহন করতে বলা হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে যে কোনা জনসমাগম।
মাস্ক ছাড়া বাইরে গেলে সাজা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। জানানো হয়েছে, টিকা ছাড়া রেস্তোরাঁয় ঢোকা যাবে না।
এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩৮৯ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ১০৭ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২ জনই পুরুষ এবং তাদের দুই জনেরই বয়স ৬০ এর বেশি।
এদের একজন চট্টগ্রাম এবং একজন খুলনার।
গত একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৭৪ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৩৮৭ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ।