মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সদ্য বিজয়ী নৌকার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও গাছ কেটে ফেলার অভিযোগের পরও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানিয়েছেন এক সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা।
পুলিশ বলছে, তারা অভিযোগ পেয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে।
হরিরামপুর থানায় গত ৮ জানুয়ারি লিখিত অভিযোগ করেন হারুকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গেন্দু মাতব্বর।
অভিযোগে বলা হয়, ইউপি নির্বাচনের পঞ্চম ধাপে হারুকান্দি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পান শেখ মোশারফ হোসেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে আনারস প্রতীকে ভোটে দাঁড়ান সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চুন্নু।
নির্বাচনে চুন্নুর হয়ে কাজ করে দল থেকে বহিষ্কৃত হন গেন্দু। ৫ জানুয়ারি ভোটের রাতে তার বাড়িতে কয়েক দফা হামলা চালানো হয়। বাড়িঘর ভাঙচুর ও গাছপালা কেটে ফেলা হয়।
গেন্দু বলেন, ‘ভোটের সময় নৌকার হয়ে কাজ করার জন্য আমাকে বিভিন্নভাবে চাপ দেয়া হয়েছে কিন্তু আমি করিনি। কারণ চুন্নু আমাগো কাছের মানুষ, ডাক দিলে সব সময় পাওয়া যায়। ফল ঘোষণার পর নৌকার চেয়ারম্যানের লোক রহিম বিশ্বাসের নেতৃত্বে ৫০ থেকে ৬০ জন আমার বাড়িতে হামলা করে। তারা ভয়ভীতি দেখাতে থাকায় পুলিশের কাছে অভিযোগ করি।’
গেন্দুর স্ত্রী রাহিমা বেগম বলেন, ‘ইলেকশনের পর কী যে শুরু হইল, কিছু বুঝলাম না। দিনে-রাইতে দল বাইন্দা আওয়ামী লীগের লোকজন বাড়িতে আসে। হুমকিধামকি দেয়, গাছপালা কাটে। খালি আমাগো বুইড়ারে (স্বামী) খোঁজে।
‘বুইড়ারে মারব, আমাগো মারব, কাউরে বাঁইচা থাকতে দিব না। এহন তো আমরা বাড়ির বাইরে বাইরাতে পারি না। পুলিশের কাছে জানাইছি, আপনারা আমাগো কিছু একটা করেন। বাড়ির লোকজন নিয়া খুব কষ্টে আছি আমরা।’
হামলার বিষয়ে মোশারফ বলেন, ‘গেন্দু মাতব্বর নিজেই নিজের বাড়িঘর ভাঙচুর করছে আর গাছপালা কেটে আমাদের নাম দিচ্ছে। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে সেটা মিথ্যা আর বানোয়াট। আমার কোনো কর্মী তার বাড়িতে হামলা ভাঙচুর করে নাই।’
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর রহমান জানান, গেন্দু মাতব্বর থানায় লিখিত অভিযোগ করছেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।