বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অরেঞ্জ হত্যা: আরও ১ আসামি গ্রেপ্তার

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১১ জানুয়ারি, ২০২২ ১২:২২

র‍্যাব- ১২ বগুড়ার কোম্পানী কমান্ডার সোহরাব হোসেন মঙ্গলবার সকালে বলেন, ‘খাইরুল ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর তাকে বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’

বগুড়ায় গুলিবিদ্ধ আহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাজমুল হাসান অরেঞ্জের মৃত্যুর ঘটনায় আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সদর উপজেলার ফাঁপোড় এলাকা থেকে সোমবার রাত ৩টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

গ্রেপ্তার খাইরুল ইসলাম মামলার ৩ নম্বর আসামি। খাইরুল শহরের ডাবতলার মোড় এলাকার মৃত রহমান ফকিরের ছেলে।

নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে র‍্যাব- ১২ বগুড়ার কোম্পানী কমান্ডার সোহরাব হোসেন মঙ্গলবার সকালে বলেন, ‘খাইরুল ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর তাকে বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বেলা সাড়ে ১১টায় বলেন, ‘অরেঞ্জ হত্যাকাণ্ডে খায়রুল ইসলামসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে মামলার ৭ নম্বর আসামি টিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

গত ২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে বগুড়া শহরের মালগ্রামের ডাবতলা এলাকায় অরেঞ্জকে গুলি করে প্রতিপক্ষ। এ সময় তার বন্ধু আরেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিনহাজ শেখ আপেলও গুলিবিদ্ধ হন। অরেঞ্জের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ-তে নেয়া হয়।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত ১১টার দিকে অরেঞ্জের মৃত্যু হয়।

ওসি সেলিম রেজা বলেন, ‘অরেঞ্জের মরদেহ মঙ্গলবার সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

পুলিশ জানায়, স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধের জের ধরে অরেঞ্জ ও আপেলকে গুলি করা হয়। এর আগে রজমানের ঈদের পর একবার হামলার ঘটনা ঘটেছিল। ওই হামলার শিকার গ্রুপটিই প্রতিশোধ নিতে এবার গুলি চালায়।

ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে অরেঞ্জ ও আপেল মালগ্রাম ডাবতলার মোড়ে বসে কথা বলছিলেন। এ সময় মালগ্রাম বেলতলা মোড় থেকে ৪/৫টি মোটর সাইকেলে একদল যুবক ডাবতলা মোড়ের দিকে যায়। তাদের মধ্য থেকে দু’জন অরেঞ্জ ও আপেলকে লক্ষ্য করে পর পর কয়েকটি গুলি ছোঁড়ে। দু’টি গুলি অরেঞ্জের বাম চোখের নিচে লাগে। আর তার সঙ্গে থাকা আপেলের পেটে গুলি লাগে।

পরে অরেঞ্জের স্ত্রী স্বর্নালি আক্তার বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন বগুড়া মালগ্রামের রাসেল আহমেদ, রাসেলের ছোট ভাই রাছানী, শহরের ডাবতলা মোড় এলাকার খাইরুল ইসলাম, একই এলাকার সুমন, বেলতলা এলাকার শাকিব, মালগ্রাম এলাকার হাবিব এবং একই এলাকার টিপু।

এ বিভাগের আরো খবর