নারায়ণগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ দেড় বছরের শিশু তাসফিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার অভিযানের সপ্তম দিনে মঙ্গলবার সকালে ধর্মগঞ্জের নদীর পাড় থেকে মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
এই নিয়ে নিখোঁজ ১০ জনেরই মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
সর্বশেষ তাসফিয়াকে উদ্ধারের মধ্য দিয়ে অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
শিশু তাসফিয়া ট্রলারডুবিতে মৃত তাসনিমের মেয়ে। এর আগে তাসফিয়ার নানি জেসমিন বেগম, মা তাসনিম ও ভাই তানিমের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন এ দুর্ঘটনার প্রধান তদন্তকারী ও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত ফেরদৌস।
তিনি বলেন, ‘সকালে ধর্মগঞ্জে নদীর পাড়ে শিশুটির মরদেহটি ভেসে ওঠে। পরে নৌ পুলিশ সদস্যরা গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করেন। মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু এ দুর্ঘটনায় আর কেউ নিখোঁজ নেই, তাই উদ্ধার অভিযান শেষ করা হয়েছে।’
ইউএনও নিউজবাংলাকে জানান, যারা মারা গেছেন, তাদের প্রত্যেককে সরকারের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ফতুল্লায় ধলেশ্বরী নদীতে গত ৫ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবে ১০ জন নিখোঁজ হন। অন্তত ৩০ যাত্রী বহনকারী ট্রলারটি এমভি ফারহান-৬ নামের লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায় নদীতে। বেশির ভাগ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ওই ১০ জনকে পাওয়া যায়নি।
ট্রলারডুবির ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এরই মধ্যে এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান, চালক জসিমউদ্দিন ভূঁইয়া ও সুকানি জসিম মোল্লাকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা করেছেন বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক (নৌ নিরাপত্তা বিভাগ) বাবু লাল বৈদ্য। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, জব্দ করা হয়েছে লঞ্চটিও।
ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম জানান, মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে যে কুয়াশার মধ্যে বেপরোয়া গতিতে লঞ্চটি চলছিল। এ কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে।