বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিধিনিষেধে লেনদেন চলবে পুঁজিবাজারে

  •    
  • ১০ জানুয়ারি, ২০২২ ১৯:৪১

২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণের পর সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলে ৬৬ দিন পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকে, চালু থাকে ব্যাংক। ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ও ১ জুলাই থেকে শাটডাউন নামে বিধিনিষেধে পুঁজিবাজারে লেনদেন চালু থাকে। বিএসইসির সিদ্ধান্ত হচ্ছে যতদিন ব্যাংক খোলা থাকবে, ততদিন শেয়ার কেনাবেচা চলবে।

করোনারভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার মধ্যে চলাচলে বিধিনিষেধে পুঁজিবাজারে লেনদেন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

গত বছরের এপ্রিলে লকডাউন ও জুলাইয়ে শাটডাউনের মধ্যে ব্যাংকের সময়সীমার সঙ্গে সমন্বয় করে যেভাবে লেনদেন চলেছিল, সেভাবেই এবারও লেনদেন চলবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সংক্রমণ যতই বাড়ুক পুঁজিবাজারের লেনদেন বন্ধ হবে না, যদি ব্যাংকের লেনদেন চালু থাকে।’

লকডাউন ও শাটডাউনের সময় লেনদেন চালু থাকার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, গত বছরে আমরা লেনদেন চালু রেখেছিলাম। এবারও ব্যাংক যেভাবে চলবে পুঁজিবাজার সেভাবেই চলবে। লেনদেন বন্ধ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’

২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণের পর সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলে ৬৬ দিন পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকে। তবে চালু থাকে ব্যাংক।

২০২১ সালের ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউনের ঘোষণা আসার পর বিএসইসি জানায়, ব্যাংক চললে পুঁজিবাজারও চলবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করার পর লকাউনের আগে দুই কর্মদিবস বড় দরপতন হয়। পরে বাংলাদেশ ব্যাংক যখন জানায়, সীমিত পরিসরে ব্যাংক চলবে, বিএসইসিও তখন সময় কমিয়ে লেনদেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

শুরুতে সে সময় ব্যাংক চালু থাকে আড়াই ঘণ্টা, পুঁজিবাজার চালু থাকে ‍দুই ঘণ্টা। পরে কিছুদিন পর ব্যাংকে লেনদেনের সময় বাড়ে, সময় বাড়ে পুঁজিবাজারেও।

এই অভিজ্ঞতার মধ্যেও ১ জুলাই থেকে শাটডাউন ঘোষণার পর আবার লেনদেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় পুঁজিবাজারে দরপতন হতে থাকে। সে সময় বাংলাদেশ ব্যাংক শুরুতে ব্যাংক বন্ধ থাকবে বলে আদেশও জারি করে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই সে আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। ফলে বিএসইসি পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকবে-এমন সিদ্ধান্তও কিছুক্ষণের মধ্যেই পাল্টায়।

গত এক সপ্তাহ ধরে করোনার সংক্রমণ, পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার যখন বেড়ে যাচ্ছিল, সে সময় আবার বিধিনিষেধের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তবে এবার আগের দুই বারের মতো পুঁজিবাজারে নেতিবাচক পরিস্থিতি পড়েনি।

রোববার এক দিনে ৫৪ পয়েন্ট সূচকের পতনের পর ওমিক্রন বিধিনিষেধের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলেও পরের দিনই সূচক বেড়ে যায় ৬১ পয়েন্ট। ফলে এটা বোঝা যায় টানা ৬ কর্মদিবস সূচক বাড়ার পর সেটা সাধারণ দর সংশোধন ছিল মাত্র।

এই সোমবার সন্ধ্যাতেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করা হয়। জানানো হয়, এই বিধিনিষেধ শুরু হবে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে।

বিধিনিষেধে ব্যাংকের লেনদেন কীভাবে চলবে-সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এখনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। ফলে বিএসইসির পক্ষেও এখনই লেনদেনের নতুন সময় নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ তুলেছেন সচেতনতার প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রম থেকে বিনিয়োগকারীদের রক্ষা করতে হলে প্রথমে তাদের (বিনিয়োগকারীদের) সচেতন হতে হবে। সংক্রামন বাড়লে ট্রেডিং হাউজ বা ব্রোকারেজ হাউজে না যাওয়ই ভালো হবে।’

লকডাউন ও শাটডাউনের সময় ব্রোকারেজ হাউজে না গিয়ে ঘরে বসে অনলাইনে বা ফোনেই শেয়ার কেনাবেচার অর্ডার দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

তবে সংক্ষিপ্ত সময়ে বেশি অর্ডারের লোড নিতে গিয়ে প্রায়ই ট্রেডিং সিস্টেমে গোলযোগ দেখা দেয়, নানা সময় বন্ধ থাকে লেনদেন।

বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ আশ্বাস দিয়েছেন, এবার আর সেই সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, ‘আমাদের অনলাইন ট্রেডিং সিস্টেম আগের তুলনায় আপডেট করা হয়েছে। ডিএসই নতুন এমডি যোগদান করার পর এটি নিয়ে কাজ চলছে।’

এ বিভাগের আরো খবর