লালমনিরহাটের ভেলাগুড়ির পূর্ব কাদমা গ্রামে হিমাংশু ও তার স্ত্রী সাবিত্রীর আত্মহত্যার দুই দিনের মধ্যে তৃতীয় আরেকজন আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে আত্মহত্যা করা তিন সন্তানের জননী জাহানারা বেগম পূর্ব কাদমা গ্রামের বেলাল হোসেনের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে প্রায়ই ঝগড়া হতো বেলাল ও তার স্ত্রী জাহানারার মধ্যে। এভাবে টানা তিনদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার পর রোববার দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় বাজার থেকে কীটনাশক কিনে বাড়িতে গিয়ে তা পান করেন জাহানারা।
পরে মুমূর্ষু অবস্থায় হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহানারাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
স্থানীয় আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ওই মহিলা খুবই রাগী। ঝগড়া হলে স্বামীকে মারধরও করতেন। গত কয়েকদিন ধরেই তাদের ঝগড়া শুনছি। গতকাল তার বাবা এসে মিমাংসা করে যান। আর আজ শুনছি বাজার বিষ কিনে বাড়িতে গিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।’
হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার সকালে পূর্ব কাদমা গ্রামেরই হিমাংশু বর্মনের বাড়ি থেকে তার স্ত্রী সাবিত্রী রানীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন দাবি করলেও ওই ঘটনায় হিমাংশু বর্মনকে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ।
পরে সেদিন বিকেলেই থানা হাজতে মৃত্যু হয় হিমাংশুর। পুলিশ জানায়, ওয়াইফাই তার দিয়ে থানার জানালায় হিমাংশু ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।