বরিশাল নগরীতে মাদ্রাসার দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে একই মাদ্রাসার এক শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। দুই ছাত্রের মধ্যে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় লোকজন রোববার সন্ধ্যায় একজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদ্রাসার হুজুরের সহায়তায় দুই ছাত্র পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। তাদের মধ্যে একজনকে আটক করা গেলেও আরেকজন পালিয়ে গেছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাত বছর বয়সী ওই শিশু ছাত্রের বাবা নিউজবাংলাকে জানান, তিন মাস আগে তিনি তার ছেলেকে ওই মাদ্রাসার হাফেজিয়া বিভাগে ভর্তি করেন। গত বৃহস্পতিবার ১৫ ও ১৬ বছর বয়সী দুই ছাত্র তার ছেলেকে মাদ্রাসার টয়লেটে নিয়ে বলাৎকার করে।
পরদিন আবারও তারা তাকে টয়লেটে নিয়ে বলাৎকারের চেষ্টা চালালে শিশুটি চিৎকার করে বেরিয়ে আসে। শনিবার তারা শিশুটিকে মারধর করে ও মাদ্রাসার সাততলার ছাদ থেকে ফেলে হত্যার হুমকি দেয়। এরপর সে অন্য দুই ছাত্রের সহায়তায় বাড়ি গিয়ে মাকে বিষয়টি জানিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়।
শিশুটির বাবা আরও জানান, শনিবার বিষয়টি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা রোববার মিটিং করে সমাধানের আশ্বাস দেন। রোববার বিকেলেও কোনো বিচার না পেয়ে তিনি ৯৯৯-এ কল করেন।
পুলিশ আসার খবর পেয়ে মাদ্রাসার এক হুজুর দুই ছাত্রকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয়রা একজনকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেয়।
ওসি বলেন, ‘বলাৎকারের অভিযোগে এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে। শিশুটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাদ্রাসার যে শিক্ষকের কথা বলা হয়েছে, তাকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি।’