বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সন্ত্রাস দমন ও নিরাপত্তায় তুরস্কের সঙ্গে এমওইউ সই

  •    
  • ৮ জানুয়ারি, ২০২২ ২৩:০৭

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে একটি এমওইউ সই হয়েছে। মূল বিষয় ছিল কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড সিকিউরিটি কো-অপারেশন। এই এমওইউর পর কো-অপারেশন আরও বাড়াবে বলে তারা জানিয়েছে।’

সন্ত্রাস দমন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে একমত হয়েছে তুরস্ক।

সচিবালয়ে শনিবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সফররত তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলাইমান সয়লুর উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।

আসাদুজ্জামান খান কামাল পরে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান।

তিনি বলেন, ‘তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সকাল থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। এখন আমরা দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শেষ করলাম। তুরস্কের সঙ্গে এটা আমাদের দ্বিতীয় বৈঠক। তাদের আমন্ত্রণে ২০১৯ সালে আমি প্রথম আঙ্কারায় গিয়েছিলাম। কোভিডের কারণে তিনি এতদিন আসতে পারেননি। তার সফরসঙ্গী ছিলেন ওই দেশের দুই প্রতিমন্ত্রী ও এমপিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

‘আমাদের সঙ্গে খোলামেলা কথা হয়েছে। আমাদের পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে তারা অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন। আমাদের প্রয়োজনে তারা সহযোগিতা করবেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ট্রেনিংয়ের কথা বলেছি, ইন্টেলিজেন্স শেয়ারের কথা বলেছি। সাইবার ক্রাইম দমনের কথা বলেছি। তারা সবগুলোতেই একমত হয়েছেন। আনসার ও পুলিশকে তারা বিভিন্ন পর্যায়ে ট্রেনিং দিয়ে আসছেন, এটা চলবে।’

‘আমাদের সঙ্গে একটি এমওইউ সই হয়েছে। মূল বিষয় ছিল কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড সিকিউরিটি কো-অপারেশন। এই এমওইউর পর কো-অপারেশন আরও বাড়াবে বলে তারা জানিয়েছে।’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আরও জোরালো ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য তারা আগেও শক্ত ভূমিকায় ছিলেন। যেসব রোহিঙ্গা এখানে রয়েছে তাদের সহযোগিতা করে আসছে। তারা হাসপাতাল স্থাপন করেছেন এবং বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন।

‘প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার থেকে জোর করে বাস্তুচ্যুতদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন। এ বিষয়ে তারা সহযোগিতা করে যাবেন বলে জানিয়েছেন। এমনকি ভাসানচরেও তারা সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তারা আন্তরিক। তারা সব সময়ই এর পক্ষে কথা বলছেন। সেইফ জোনের যে দাবি আমরা জানিয়েছি সেটার সঙ্গেও তারা একমত।’

এর আগে সকালে ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে ঢাকায় পৌঁছান সোলাইমান সয়লু। নেমেই রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে বিশেষ একটি ফ্লাইটে প্রতিনিধিদলসহ উড়াল দেন কক্সবাজারে। সেখানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তুর্কি অর্থায়নে নির্মিত একটি হাসপাতাল উদ্বোধন করেন তিনি।

পরে ঢাকায় ফিরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমানের সঙ্গে রাজধানীর হোটেলে বৈঠক করেন তিনি। এতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আলোচনা হয়।

রাতেই তুরস্কের পথে উড়াল দিয়েছেন সয়লু।

এ বিভাগের আরো খবর