চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে না পারায় রাজধানীতে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়ার পর পথে মারা যাওয়া শিশু আহমেদের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার বিকেল ৪টার দিকে ছয় মাস বয়সী ওই শিশুর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের প্রভাষক ডা. টিপু সুলতান।
মরদেহের হিস্টোপ্যাথলজি ও ভিসেরা রিপোর্ট আসার পর শিশুটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে মরদেহ শিশুটির মামা মেহেদী হাসানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মারা যাওয়া শিশু আহমেদের মামা মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমার ভাগিনার মরদেহ সাভার ভাটপাড়ার রেডিও কলোনি এলাকায় পঞ্চায়েত কবরস্থানে দাফন করা হবে।’
গত ৩১ ডিসেম্বর ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকষ্টে ভোগা ছয় মাস বয়সী যমজ দুই শিশু আহমেদ ও আব্দুল্লাহকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন মা আয়েশা বেগম।
অবস্থা গুরুতর হওয়ায় শিশু দুটিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়ার কথা বলেন সোহরাওয়ার্দীর চিকিৎসকরা।ওই হাসপাতালে আইসিইউ বেড না থাকায় দালালের মাধ্যমে ২ জানুয়ারি যমজ দুই সন্তানকে ‘আমার বাংলাদেশ হাসপাতালে’ নেন আয়েশা বেগম।
সেখানে তিন দিন আইসিইউতে রেখে চিকিৎসার পর তাকে ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা বিলের কথা জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে ওই টাকা জোগাড়ের সাধ্য নেই জানানোর পর আয়েশার সঙ্গে রাগারাগি করেন হাসপাতালের পরিচালকসহ দায়িত্বে থাকা অন্য কর্মকর্তারা। এরপর রোগী দুই শিশুকে বের করে দেয়া হয়।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে শিশু আহমেদ মারা যায় বলে জানান শিশুটির মা আয়েশা বেগম।
আয়েশার দাবি, বিভিন্ন জায়গা থেকে ধারদেনা করে ৫০ হাজার ৫০০ টাকা জোগাড় করেন তিনি। এ ছাড়া সৌদি প্রবাসী স্বামীকে ফোন করে বিষয়টি জানালে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি ১০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠান। সব মিলিয়ে ৬০ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধ করেন তিনি। তবে তাতে সন্তুষ্ট হয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।