ভোলার পূর্ব ইলিশায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে ৩ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে পরাজিত নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা।
ভোলা-লক্ষীপুর মহাসড়কে শুক্রবার বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলে এই অবরোধ। পরে পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ফরহাদ সর্দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের সমর্থকরা হামলা করেছে- এমন অভিযোগ তুলে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা ওই মহাসড়ক অবরোধ করে। পুলিশ গিয়ে তাদের আশ্বাস দেয় যে হামলার অভিযোগ তদন্ত করা হবে। এরপর তারা সড়ক ছেড়ে চলে যায়।
পরাজিত নৌকার প্রার্থী মো. সোহরাওয়ার্দী বলেন, ‘নির্বাচন শেষে বিজয়ী হওয়ার পর থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন ছোটনের সমর্থকরা আমার কর্মী, সমর্থকদের নির্যাতন করে আসছে। অনেক কর্মীর বাড়িঘর ভাঙচুর করছে। এতে অনেক কর্মী আহত অবস্থায় ভোলা হাসপাতালে ভর্তি আছে।
‘আজ (শুক্রবার) বিকালে উপজেলা শ্রমিক লীগ সভাপতির ছেলে ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনকে ইলিশা ঘাট থেকে পাকার মাথা আসার সময় ছোটনের কর্মীরা মারধর করে। এর প্রতিবাদে আমার লোকজন সড়কে নামে।’
অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ছোটন বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায় নিয়ে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। এই কারণে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী ঈর্ষান্বিত হয়ে কর্মীদের ওপর হামলার নাটক করে আমার উপর দোষারোপ করে বেড়াচ্ছে।
‘আমি নির্বাচিত হওয়ার পরে জনগনকে শান্ত থাকতে বলেছি। বিজয় মিছিল থেকে শুরু করে মালা নেয়া সব কিছু বন্ধ রাখছি, যাতে করে কোনো ধরণের সহিংসতা না হয়। গত দুইদিন ধরে এলাকায় মাইকিং করছি কেউ যেন সহিংসতায় না জড়ায়। বরং উনার সমর্থকরা এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আমার সমর্থকদের মারধর করছে। এতে আমার বেশ কয়েকজন কর্মী আহত অবস্থায় ভোলা হাসপাতালে ভর্তি আছে।’
বুধবারের ভোটে এই ইউনিয়নে ৬৭০০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হন আনোয়ার হোসেন। নৌকার প্রার্থী মো. সোহরাওয়ার্দীর পান ৩২৪৫ ভোট।