রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে গুলিতে দুজন নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে ঘটনার এক সপ্তাহ পর। আসামি করা হয়েছে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বড় ঋষি চাকমাসহ ১২ জেএসএস (সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন) নেতাকর্মীকে। অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০ জনকে রাখা হয়েছে আসামির তালিকায়।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন শুক্রবার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার মামলাটি করেছেন নিহত জানং চাকমার ছোট ভাই এলিন চাকমা। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
উপজেলার দুইকিলো এলাকায় গত ২৯ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানং ছিলেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক) কমান্ডার। নিহত আরেকজন হলেন সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কমান্ডার তুজিম চাকমা।
এ ঘটনায় পায়ে গুলিবিদ্ধ হন এক পথচারী। ঘটনাস্থল থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার করা হয়।
গোলাগুলির ঘটনায় সন্তু লারমার জেএসএসকে দায়ী করছে ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক দল।
এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্যামল কান্তি চাকমা অভিযোগ করেন, ‘জানং চাকমা একটি দোকানে বসে ছিলেন। হঠাৎ করে জেএসএস দলের লোকেরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে।’
অভিযোগের বিষয়ে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএসের কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
তবে ওসি জানান, ওই দিন দুই গ্রুপের মধ্যেই গোলাগুলি হয়।
নিউজবাংলাকে বাঘাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেএসএসের কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক সুদর্শন চাকমা বলেন, ‘ইউপিডিএফের নিয়ন্ত্রিত এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। মূলত আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত।’