বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিশু মৃত্যুর ঘটনায় সেই হাসপাতালের মালিক গ্রেপ্তার

  •    
  • ৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:২৭

র‍্যাব জানায়, আমার বাংলাদেশ হাসপাতালে বিল পরিশোধ নিয়ে দ্বন্দ্বে চিকিৎসাধীন যমজ শিশুকে জোর করে বের করে দেয়ার পর আহমেদ নামে এক শিশুর নির্মম মৃত্যু হয়। অপর শিশুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়।

রাজধানীর শ্যামলীর আমার বাংলাদেশ হাসপাতাল থেকে টাকার অভাবে যমজ শিশুকে চিকিৎসা না দিয়ে বের করে দেয়ার ঘটনায় হাসপাতালের মালিককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

শুক্রবার মোহাম্মদপুর থেকে আমার বাংলাদেশ হাসপাতালের মালিক গোলাম সারওয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিল পরিশোধ না করতে পারায় হাসপাতাল থেকে বের করে দিলে যমজ শিশুর একজনের মৃত্যু হয়

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

র‌্যাব জানায়, আমার বাংলাদেশ হাসপাতালে বিল পরিশোধ নিয়ে দ্বন্দ্বে চিকিৎসাধীন যমজ শিশুকে জোর করে বের করে দেয়ার পর আহমেদ নামে এক শিশুর নির্মম মৃত্যু হয়। অপর শিশুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়।

যমজ শিশুর মা আয়েশা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘ঠাণ্ডাজনিত কারণে ৩১ ডিসেম্বর শহিদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করি দুই বাচ্চাকে। রোববার সেখানে থেকে বলা হয়েছে, তাদেরকে এনআইসিইউতে নিতে হবে। সেখানে এনআইসিইউতে সিট পাওয়া যাচ্ছিল না।

‘পরে যখন সিদ্ধান্ত নিই, সাভারে নিয়ে যাব। তখন হাসপাতালে এক অ্যাম্বুলেন্স চালক সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে আমাকে কৌশলে আমার বাংলাদেশ হসপিটালে নিয়ে যান। ওই হাসপাতালে শিশু দুটি চিকিৎসা নিচ্ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছয় দিন ভর্তি দেখিয়ে আমাদের কাছে ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা দাবি করে।’

তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে কয়েক বার ৫০ হাজার ৫ শ টাকা দিয়েছি। আর পারিনি। হাত-পায়ে ধরেও লাভ হয়নি। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে আমাদের জোর করে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়া হয়।

‘হাসপাতালের কর্মী শাহিনকে দিয়ে দুই শিশুসহ আমাদের ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়। এখানে আনার আগেই এক শিশুর মৃত্যু হয়।’

আয়েশা বেগম জানান, শিশুদের বাবা দু মাস আগে সৌদি গেছেন। সেখানে তিনি মরুভূমিতে কাজ করেন। সেখান থেকে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে নিয়ে টাকা পাঠিয়েছিলেন। সব টাকাই হাসপাতালে দিতে হয়েছে। তাদের বড় ছেলে পাঁচ বছর বয়সী আরব আলী কুমিল্লায় নানার কাছে থাকে।

এ বিভাগের আরো খবর