বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদার সেই ‘সহায়ক সরকার’ কেমন আজও জানাল না বিএনপি

  •    
  • ৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৫:৩৮

পাঁচ বছর আগে নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে খালেদা জিয়ার তোলা প্রসঙ্গ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে দলটির স্থায়ী কমিটির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, সহায়ক সরকারের বিষয়টি তাদের মনে নেই। দলটির দাপ্তরিক কাজকর্মে সম্পৃক্ত একজন নেতা প্রশ্ন শুনে আর এ প্রসঙ্গে কথা বাড়াতে রাজি হননি।

সুপ্রিম কোর্ট অবৈধ ঘোষণার পর সংবিধান থেকে বিলোপ হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এই পরিস্থিতিতে বিএনপি যে দাবি করছে, সেই নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা কেমন হবে- তার একটি প্রস্তাব দেয়ার কথা জানিয়ে পাঁচ বছর পর ভুলে গেছেন দলটির নেতারা।

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনে এসে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রথম জাতীয় নির্বাচনের সময় ‘স্বাধীন নির্বাচন কমিশন’কে সহায়তা করতে ‘সহায়ক সরকারের’ প্রসঙ্গ তোলেন। বলেন, সুবিধামতো সময়ে এই সরকারের রূপরেখা তুলে ধরবেন তিনি।

সেদিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমরা বলেছি, শুধু নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ হলেই হবে না। এর পাশাপাশি একটি নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার দরকার। যারা নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।’

এরপর পেরিয়ে গেছে পাঁচ বছরেরও বেশি সময়। কিন্তু সুবিধামতো সেই সময় আসেনি, নির্বাচনকালীন কী ধরনের সরকার চায় বিএনপি, সেটি আর জানা হয়নি।

যদিও সে সময় বিএনপি নেতারা জানিয়েছিলেন, তাদের সহায়ক সরকারের রূপরেখার খসড়া তৈরির কাজ চলছে। ২০১৭ সালের জুলাইয়ের শেষ দিকে বা আগস্টে ঘোষণা হতে পারে তা।

খালেদা জিয়ার তোলা সহায়ক বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে দলটির স্থায়ী কমিটির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, সহায়ক সরকারের বিষয়টি তাদের মনে নেই। দলটির দাপ্তরিক কাজকর্মে সম্পৃক্ত একজন নেতা প্রশ্ন শুনে আর এ প্রসঙ্গে কথা বাড়াতে রাজি হননি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি উল্টো প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘কী রূপরেখা? সহায়ক সরকারের রূপরেখা? না, আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না।’

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হওয়ার সময় এর তীব্র বিরোধিতা করে বিএনপি। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনার দাবিতে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে সহিংস আন্দোলন করলেও নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি তারা। পরের বছর সরকার পতন আন্দোলনে নেমেও ব্যর্থ হয় তারা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি উল্টো প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘কী রূপরেখা? সহায়ক সরকারের রূপরেখা? না, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।

এরপর খালেদা জিয়া সহায়ক সরকারের প্রসঙ্গ তোলার দুই বছরের কিছু বেশি সময় পর হয় একাদশ সংসদ নির্বাচন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশও নেয়। সে সময় সরকারের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভোটের আগে তার মন্ত্রিসভা আগের পাঁচ বছরের মন্ত্রিসভার তুলনায় ছিল ছোট, যেটি পরিচিতি পায় নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে।

একাদশ সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে অংশ নিলেও বিএনপি আবার নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি জানাচ্ছে। তবে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নেই। সে ক্ষেত্রে এই সরকার কেমন হবে, সেই বিষয় নিয়ে দলটি আর তুলছে না।

আগের কথা বাদ দেন। আগের কথা বইলেন না। এখন এসব নিয়ে কোনো আলাপ নেই দলে: মির্জা আব্বাস।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন এই নিয়ে আলাপ-আলোচনা নেই৷ যখন হবে তখন জানিয়ে দেয়া হবে।’

সহায়ক সরকারের প্রসঙ্গটি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানকে প্রশ্ন রাখলে তিনি বলেন, ‘আমি পরে কথা বলি। আমি কক্সবাজারে, আমার আশপাশে অনেক মানুষ।’

কিন্তু পরে তার বক্তব্য আর পাওয়া যায়নি। একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই সহায়ক সরকারের রূপরেখা নিয়ে আমরা এখন ভাবছি না। এটা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি দলে।’

‘তবে ২০১৬-১৭ সালে তো এটা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ছিল। আপনারা খুব শিগগির এই প্রস্তাব দেয়ার কথা জানিয়েছিলেন’- পাল্টা এই কথার জবাবে তিনি বলেন, ‘আগের কথা বাদ দেন। আগের কথা বইলেন না। এখন এসব নিয়ে কোনো আলাপ নেই দলে।’

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এখন তো আন্দোলনের সময়। যে রূপরেখার কথা বলা হয়েছিল, সেটা আন্দোলনের এক ফাঁকেই হয়তো চলে আসবে, যদি দল তা নিয়ে ভাবে। তবে এখন পর্যন্ত দল এই রূপরেখা নিয়ে কিছু ভাবছে না।’

এ বিভাগের আরো খবর