বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুরাদের স্ত্রীর নিরাপত্তায় নজর রাখছে পুলিশ

  •    
  • ৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১২:৫০

ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম বলেন, ‘আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তদন্ত কর্মকর্তা যদি মনে করে মুরাদ হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন, তাহলে তাকে তলব করা হবে।’

সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ড. মুরাদ হাসানের স্ত্রী জাহানারা এহসানের নিরাপত্তার বিষয়ে সার্বক্ষণিক নজর রাখছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনেছেন তার স্ত্রী।

বিষয়টি উল্লেখ করে ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন জাহানারা এহসান।

পাশাপাশি তিনি মুরাদ হাসানের কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও অভিযোগ করেন।অভিযোগের পর ধানমন্ডি থানা পুলিশ জাহানারা এহসানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছে বলে জানিয়েছে।

তিনি কখনও সমস্যা বোধ করলে যাতে দ্রুত সময়ে তাকে সাপোর্ট দেয়া যায় সে প্রস্তুতি পুলিশের পক্ষ থেকে রাখা হয়েছে।ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া শুক্রবার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা উনার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছি। উনি সমস্যা বোধ করলে বা নিরাপত্তাহীন মনে করেন তাহলে আমাদেরকে জানাবেন, আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’স্ত্রীর জিডিতে যত অভিযোগ

সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন জাহানার এহসান। ওই জিডির একটি কপি নিউজবাংলার হাতে এসেছে। এতে তিনি অভিযোগ করেন, ‘বিবাদী ডা. মুরাদ হাসানের সঙ্গে ১৯ বছর আগে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। বিবাহিত জীবনে আমাদের সংসারে মেয়ে রামিসা ফারিহা রাজকন্যা ‌ও ছেলে হাসান আবরার মাহির যুবরাজ রয়েছে। বিবাদী আমার স্বামী।

‘তিনি একজন সংসদ সদস্য এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী। তিনি কারণে-অকারণে আমাকে এবং সন্তানদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছেন। হত্যার হুমকিও দিয়ে আসছেন।’

মুরাদের স্ত্রী জিডিতে উল্লেখ করেন, ‘আজ ৬ জানুয়ারি আনুমানিক বেলা পৌনে ৩টার দিকে বরাবরের মতোই তিনি আমাকে ও আমার সন্তানদের গালিগালাজ করেন এবং মারধর করতে উদ্যত হলে আমি ৯৯৯ নম্বরে কল করি। ধানমন্ডি থানা পুলিশ বাসার ঠিকানায় পৌঁছালে বিবাদী বাসা থেকে বের হয়ে যান। এ অবস্থায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় আছি। বিবাদী যেকোনো সময় আমার ও আমার সন্তানদের ক্ষতি করতে পারেন।’

অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নথিভুক্ত হওয়ার পর থানা থেকে চলে যান মুরাদের স্ত্রী। থানা থেকে বের হলেও রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তিনি ধানমন্ডির বাসায় ফেরেননি।

তদন্ত হচ্ছে

তার অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নেয় পুলিশ। ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক রাজিব হাসানকে এর তদন্তভার দেয়া হয়েছে।

তদন্তের বিষয়ে রাজিব হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জিডিটি গতকাল হয়েছে। তদন্ত শুরু করার জন্য আদালতের অনুমতির প্রয়োজন হয়। আজ শুক্রবার হওয়ায় আগামীকাল আদালতের অনুমতির জন্য আবেদন করব। আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর আমরা তদন্তে যা যা প্রয়োজন হবে তার ব্যবস্থা নেব।’অভিযোগটি তদন্তে মুরাদ হাসানকেও তলব করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম।

তিনি বলেন, ‘আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তদন্ত কর্মকর্তা যদি মনে করে মুরাদ হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন, তাহলে তাকে তলব করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর